চাকসু নির্বাচনে শিবিরপন্থী প্রার্থীদের দ্বৈত জয়

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ভিপি ও জিএস পদে জয় পেয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’-এর প্রার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাত চারটার দিকে অনানুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত ফলাফলে জানা যায়, ভিপি পদে ইব্রাহিম হোসেন রনি পেয়েছেন ৭ হাজার ২২১ ভোট এবং জিএস পদে সাঈদ বিন হাবিব পেয়েছেন ৭ হাজার ২৯৫ ভোট।

অন্যদিকে এজিএস পদে জয় পেয়েছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থী আইয়ুবুর রহমান তৌফিক, যিনি ভোট পেয়েছেন ৬ হাজার ৪৪১টি।

চাকসুর ২৬টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৪১৫ জন প্রার্থী। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সার্বিকভাবে নির্বাচন ছিল উৎসবমুখর, তবে ফলাফল ঘোষণার আগে ক্যাম্পাসজুড়ে কিছু উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি দেখা দেয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ও হোস্টেলের শিক্ষার্থীরা রাতভর ফলাফলের অপেক্ষায় ছিলেন। এই নির্বাচনে দীর্ঘ ৩৩ বছর পর চাকসু পুনরায় সক্রিয় হওয়ায় ক্যাম্পাসে নতুন উত্তেজনা ও আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা আশা প্রকাশ করেছেন, নির্বাচিতরা এখন শিক্ষার্থীদের অধিকার ও একাডেমিক পরিবেশ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাত একটার দিকে দুইটি হলে ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিনকে অবরুদ্ধ করে রাখে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর রাত সাড়ে ৩টার দিকে তিনি মুক্ত হন।

এর আগে সারাদিন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হলেও ফলাফল ঘোষণার আগ মুহূর্তে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি দেখা দেয়। এক নম্বর গেট এলাকায় ছাত্রদল সমর্থিত বিএনপি ও ছাত্রশিবির সমর্থিত জামায়াতের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন। যদিও তারা মুখোমুখি অবস্থানে ছিলেন, তবুও বড় কোনো সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি।