বরিশালে সম্প্রতি সাংবাদিকতার নামে সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে জিম্মি করে চাঁদাবাজির ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে। সাংবাদিকতার মতো মহান পেশাকে কলুষিত করছে কতিপয় সাংবাদিক নামধারী দুর্বৃত্ত। তাদের কর্মকাণ্ডে বরিশালের প্রকৃত পেশাদার সাংবাদিক সমাজ বিব্রত ও ক্ষুব্ধ।
এমন নিন্দনীয় প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় বরিশাল প্রেসক্লাবে সাংবাদিক মাইনুল হাসান মিলনায়তনে পেশাদার সাংবাদিকদের ১৫টি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এক জরুরি সভায় মিলিত হন। সভায় সভাপতিত্ব করেন বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম খসরু।
সভায় সাংবাদিক নেতারা বলেন, “নামধারী কিছু ব্যক্তি সাংবাদিকতার সুযোগ নিয়ে চাঁদাবাজিতে নেমেছে। এরা রাতের অন্ধকারে ট্রাক থামিয়ে টাকা নেয়, ফেসবুক টিভির নামে ব্যবসা করে, এমনকি কিছু দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধীও এখন সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি করছে।”
নেতৃবৃন্দের দাবি, এইসব অপকর্ম সাংবাদিকতার ভাবমূর্তি নষ্ট করছে এবং জনমনে ভীতি সৃষ্টি করছে। তারা মনে করেন, “অপসাংবাদিকতা প্রতিরোধে এখন ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগ ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।”
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, “অপসাংবাদিকতা প্রতিরোধে অ্যাকশন কমিটি” নামে একটি সংগঠন মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করবে। ইতোমধ্যে চাঁদাবাজ সাংবাদিকদের তালিকা প্রস্তুত করা শুরু হয়েছে এবং প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
এছাড়া সভায় আহ্বান জানানো হয়, যদি কেউ সাংবাদিকতার পরিচয়ে চাঁদা দাবি করে বা অনৈতিক সুবিধা নিতে চায়, তবে ভুক্তভোগীরা যেন তাৎক্ষণিকভাবে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম খসরু (০১৭১১-৩৭২৪৬৪), রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ (০১৭১১-২৬১১৮৮) অথবা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আযাদ আলাউদ্দীনকে (০১৭১২-১৮৯৩৩৮) জানায়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন খালিদ সাইফুল্লাহ, আযাদ আলাউদ্দীন, হাফিজুর রহমান হিরা, কাজী মিরাজ মাহমুদ, এম লোকমান হোসাইন, মুরাদ আহমেদ, কাওসার হোসেন, হুমায়ুন কবির, আকতার ফারুক শাহিন, পুলক চ্যাটার্জি, বীরেন্দ্রনাথ সমাদ্দার, জিয়া শাহিন, খান রুবেল, শাহিন হাসান, কমল সেনগুপ্ত, শাহিন সুমন, খান মনিরুজ্জামান, আল আমিন সাগর, জুয়েল রানা, রাতুল আহমেদসহ সিনিয়র সাংবাদিকবৃন্দ।
সভায় বক্তারা একবাক্যে বলেন, “বরিশাল থেকে অপসাংবাদিকতা দূর করতে হবে, পেশার মর্যাদা ফিরিয়ে আনতেই হবে।”