সারাদেশে শুরু হচ্ছে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন

নিজস্ব প্রতিবেদক
বিশেষ প্রতিবেদক - স্বাস্থ্য বিভাগ
প্রকাশিত: শনিবার ১৫ই মার্চ ২০২৫ ১১:১৩ পূর্বাহ্ন
সারাদেশে শুরু হচ্ছে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন

বৃহস্পতিবার সারাদেশে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন শুরু হচ্ছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ কর্মসূচির আওতায় ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ২ কোটি ২৬ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দেশের ১ লাখ ২০ হাজার ইপিআই কেন্দ্রের মাধ্যমে এ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে।  


ক্যাম্পেইনের সফল বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে এবং জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক কন্ট্রোল রুম চালু থাকবে, যাতে কোনো শিশু এ কার্যক্রম থেকে বাদ না পড়ে। অভিভাবকদের নিকটস্থ ইপিআই টিকাদান কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক বা অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে গিয়ে শিশুদের ক্যাপসুল খাওয়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।  


স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, নিয়মিত ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল গ্রহণের ফলে দেশে ভিটামিন ‘এ’-এর অভাবজনিত অন্ধত্বের হার এক শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। এছাড়া শিশু মৃত্যুর হারও হ্রাস পেয়েছে। এই কর্মসূচি সফলভাবে পরিচালনার ফলে শিশুদের অপুষ্টিজনিত সমস্যা কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।  


১৯৭৪ সালে রাতকানা রোগ প্রতিরোধে দেশে প্রথমবারের মতো শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু হয়। বর্তমানে এ রোগ প্রায় বিলুপ্তির পথে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভিটামিন ‘এ’ শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।  


এ কর্মসূচির আওতায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়েও শিশুদের ক্যাপসুল খাওয়ানোর কাজ করবেন। এছাড়া স্থানীয় প্রশাসন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও সামাজিক সংগঠনগুলোর সহায়তায় কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করা হচ্ছে।  


স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর মাধ্যমে শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা এ কর্মসূচির প্রধান লক্ষ্য। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে শিশুদের অপুষ্টিজনিত সমস্যা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।  


জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের সফল বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। এ কর্মসূচির মাধ্যমে শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আরও এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।