বিশালাকার গ্যারেজ থাকা সত্বেও তা ব্যবহারে আগ্রহ নেই অধিকাংশ শিক্ষক শিক্ষার্থীর মাঝে। এর ফলস্বরূপ শিক্ষার্থীদের চলাচলের পথে জটলা সৃষ্টি হচ্ছে যার প্রধান কারণ হিসেবে ইঙ্গিত করা হচ্ছে শিক্ষক & অতিথিদের ব্যক্তিগত গাড়ির যত্রতত্র পার্কিংকে। এদিকে গ্যারেজ প্রায় ফাকা থাকায় সেখানে জমছে মাদক ও জুয়া'র আসর। এর কান্ডারিদের ধরতে জবির সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বেশ কয়েকবার টহল পুলিশ দিয়ে তল্লাশি চালান।
রবিবার সরেজমিনে দেখা যায়, হাতে গোনা ক'টি প্রাইভেট কার ও কয়েক সারি বাইক ছাড়া পুরো গ্যারেজ প্রায় খালি পড়ে ছিলো। এদিকে এই ফাকা স্থানগুলো দিনের পর দিন অব্যবহৃত থাকায় তা এখন ভাঙাচোরা চেয়ার ও ময়লার স্তুপের দুর্গন্ধযুক্ত ভাগাড়ে রুপ নিচ্ছে।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষকের গাড়ি চালক বলেন, "এখানে গাড়ি রাখি কারণ আলো বাতাসের সুব্যবস্থা আছে। গাড়ির জানলা খোলা রেখে আরামে গানও শুনতে পারি। শিক্ষকরাও কখনো গ্যারেজ ব্যবহারের নির্দেশ দেননা।"
অর্থনীতি বিভাগের ১৪ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মুনতাসির রাফসান বলেন, যত্রতত্র পার্কিংএর ফলে শুধু যে চলাফেরায়ই কষ্ট হচ্ছে তা নয়, পরিবেশও যান্ত্রিক আবর্জনার স্তুপে রুপ নিচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকি বলেন, "এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে আলোচনা চলছে। গ্যারেজ ফাঁকা থাকতেও শিক্ষকরা কেনো যত্রতত্র ব্যক্তিগত গাড়ি পার্কিং করছেন এ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে ও সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।" এছাড়াও শিক্ষার্থীদের মোটরবাইক ও সাইকেল রাখার জন্য আলাদা স্ট্যান্ড করার ইচ্ছাও তিনি প্রকাশ করেন।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।