নিজস্ব প্রযুক্তিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
এইচ.এম.এ রাতুল, জেলা প্রতিনিধি, বরিশাল।
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ২৩শে নভেম্বর ২০২১ ০৪:০১ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রযুক্তিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১১ বছর পর প্রথমবারের মতো নিজস্ব কারিগরি সক্ষমতা ও প্রযুক্তির মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের কারিগরি সহায়তায় ভর্তির আবদেনের ওয়েবসাইট উন্নয়নের মাধ্যমে এবছর থেকেই কাজ চলছে পুরোদমে। 


এর আগে গত ১৯ নভেম্বর থেকে প্রথমবারের মতো ২০২০-২১ সেশনের ভর্তিচ্ছুদের আবেদনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ কার্যক্রম। যার মাধ্যমে সোমবার (২২ নভেম্বর) বেলা ১২টা পর্যন্ত ৫ম দিনে ১৪৪০ টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন প্রায় ১৩ হাজার ৬ শত ৪৭ জন শিক্ষার্থী। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ সেশনের ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক এবং কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাহাত হোসাইন ফয়সাল এ তথ্য নিশ্চিত করেন ।


এর আগে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম ব্যাচ থেকে ৫ম ব্যাচের কারিগরি সহায়তা দিয়েছিল টেলিটক এবং ৬ষ্ঠ থেকে নবম ব্যাচের কারিগরি সহায়তা দিয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে প্রত্যকে শিক্ষার্থীর আবেদন প্রতি অতিরিক্ত ব্যয় হতো ৫০-৮০ টাকা। এ বিষয়ে ‘বি’ ইউনিটের আবেদনকারী কুয়াকাটা খানাবাদ ডিগ্রি কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী  জাহেদা বলেন, খুব অল্প সময়ে সহজেই নিজের মোবাইলের মাধ্যমে আবদেন করতে পেরেছি। আবেদনে অতিরিক্ত কেনো চার্জ দিতে হয়নি বরং বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট করায় ১৫ টাকা ক্যাশব্যাক পেয়েছি।


বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক রাহাত হোসাইন ফয়সাল বলেন, আমরা চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইট অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে দ্রুততম ওয়েবসাইট। ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে আমাদের টেকনিক্যাল সদস্যরা সার্বক্ষণিক কাজ করছেন। এছাড়া মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) বেলা ১ টা পর্যন্ত ‘এ’ ইউনিটে ৭ হাজার ২ শত ৪৬, ‘বি’ ইউনিটে ৩ হাজার ৮ শত ৯৩ এবং ‘সি’ ইউনিটে ২ হাজার ৫ শত ৯৩ জনের আবেদন জমা পড়েছে বলেও জানান তিনি।

 

প্রসঙ্গত, বর্তমানে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬টি অনুষদের অধীনে মোট আসন সংখ্যা ১ হাজার ৪৪০টি। এছাড়া সমাজকর্ম বিভাগের জন্য ভবন নির্মাণ ও কক্ষ বরাদ্দ করা হলেও এখনো অনুমোদন পায়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।