আমার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ সমূহের একটিও যদি তথ্য প্রমান দিতে পারে তাহলে আমি বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে চলে যাবো। এমন মন্তব্য করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এর ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক ও সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ মাহবুবর রহমান।
জানা যায়, গত ১৭ অক্টোবর একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে ড. মাহবুবর রহমানের বিরুদ্ধে অসম্মানজনক ও ভিত্তিহীন বক্তব্য প্রদান করে ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান লালন। পরে মানহানির জন্য ছাত্রলীগ নেতা লালন এবং ডিবিসি নিউজের প্রধান সম্পাদক মুনজুরুল ইসলামের নামে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেন ড. মাহবুবর রহমান।পরে আদালত তাদের বিরুদ্ধে সমন জারি করে এবং আগামী ২৫/১১/১৯ তারিখে তাদের হাজির হওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন আদালত।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, আমি আমার সাংবিধানিক অধিকার গ্রহণ করে অভিযোগকারীদের সেই সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। আর তারা যদি তথ্য প্রমাণ না দিতে পারে তাহলে আনুষ্ঠানিকভাবে আমার সততার স্বীকৃতি দিতে হবে। আমি এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। আমি বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষক সংগঠন এবং প্রশাসনের কাছে এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করেছিলাম তাদের কাছ থেকে কোন রকম সাড়া না পেয়ে আদালতের দারস্থ হয়েছি।
এ দিকে মামলা করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সোমবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ছাত্রলীগের বিদ্রোহী গ্রুপের নেতাকর্মীরা। পরে দুপুর ২ টায় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেয় এবং বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভ শেষে তারা উপাচার্য এর কক্ষে গিয়ে মামলা প্রত্যাহার ও অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমানকে সকল প্রকার প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির দাবি জানান তারা।
এ ব্যাপারে উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী বলেন, “ আমরা তার সাথে কথা বলেছি, তিনি বিষয়টি তার ব্যাক্তিগত বলে জানিয়েছেন। তারপরেও সমস্যা নিরসনে তার সাথে আলোচনা করা হবে" সেই সাথে উপাচার্য তাদেরকে প্রধান ফটক খুলে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করলে তারা প্রধান ফটক খুলে দেয়।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।