এখনো পর্যন্ত মাঘ মাসের শীতের প্রকোপ উত্তরের জনপদে কাঁপিয়ে রেখেছে। বেশ কিছুদিন ধরেই তাপমাত্রা কমে থাকলেও, বাংলা মাসের মাঝামাঝিতে এসে শীত কিছুটা কমতে পারে। এই মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং এর সঙ্গে বুধবার রাত থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে যে, আগামী সপ্তাহে দেশব্যাপী বৃষ্টি হতে পারে।
দেশের উত্তরাঞ্চলে, বিশেষত দিনাজপুরে, সোমবার রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা বেশ কিছুদিন পর পরিস্কার হয়েছে। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রার পরিবর্তন সাধিত হতে পারে, তবে শীতের প্রকোপ একেবারে চলে যাবে না।
এছাড়া, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে, তবে কিছু অঞ্চলে কুয়াশা পড়বে। শীতের এই সময়ে, বিশেষত রাতের তাপমাত্রা কম থাকলেও দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে। তবে দেশের নদী অববাহিকার কিছু অঞ্চলে কুয়াশা এবং হালকা বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী পাঁচ দিনে বিশেষ করে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে হালকা বৃষ্টি অথবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চলে কিছু বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
নতুন বছরের শুরুতেই বৃষ্টি, কুয়াশা ও শীতের এই মিশ্র আবহাওয়া মানুষের জন্য কিছুটা অস্বস্তি তৈরি করেছে। তবে আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা আশাবাদী যে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তাপমাত্রার সামান্য বৃদ্ধি হতে পারে, যা শীতের প্রকোপ কিছুটা কমাতে সাহায্য করবে।
এছাড়া, দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তাপমাত্রাও খুব বেশি পরিবর্তন হবে না। বিশেষত, রাতের তাপমাত্রা থাকবে প্রায় অপরিবর্তিত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়বে। তবে, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বুধবার রাত থেকে পরবর্তী এক সপ্তাহের মধ্যে বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। তবে, এক সপ্তাহ পর শীতের প্রকোপ কিছুটা কমে আসবে এবং তাপমাত্রা বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শীতের সঙ্গে যে বৃষ্টির আগমন হচ্ছে, তা দেশের কৃষকদের জন্য কিছুটা সুবিধাজনক হতে পারে, তবে অতিরিক্ত বৃষ্টিতে কৃষিক্ষেত্রে কোনো ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা থাকলেও থাকতে পারে।
এছাড়া, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তাপমাত্রার সামান্য বৃদ্ধি দেখে, শীতের পোশাক পরিধান কমাতে অনেকের জন্য সুবিধা হতে পারে। তবে শীতের প্রকোপ কমে গেলেও, কিছু অঞ্চলে শীতের অনুভূতি থাকবে এবং এটি মানুষের জীবনযাত্রায় কিছুটা প্রভাব ফেলতে পারে।
এই পরিস্থিতি সকলের জন্য কিছুটা অস্বস্তিকর হলেও, আগামী দিনের আবহাওয়া সামান্য পরিবর্তনের মাধ্যমে মানুষের জন্য কিছুটা আরামদায়ক হতে পারে।
এছাড়া, যে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে, তা শীতের প্রকোপের পাশাপাশি কৃষকদের জন্য বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।