নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার ঘোষনগর ইউনিয়নের উত্তর কমলাবাড়ি গ্রামে ওয়াদুদ হোসেন নামে এক যুবক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওয়াদুদ ওই গ্রামের মোস্তফার ছেলে এবং গগণপুর ফাজিল মাদ্রাসার ডিগ্রি প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
পরিবারের দাবি, সকালে ঘরের দরজা বন্ধ দেখে ডাকাডাকি করেন স্বজনরা। কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখেন, ওয়াদুদ ফাঁস দিয়ে ঝুলছে। পরিবারের পক্ষ থেকে তার আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু জানানো হয়নি।
তবে স্থানীয়দের একাংশের দাবি, পাশের গ্রামের এক মেয়ের সঙ্গে ওয়াদুদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি দুই পরিবারের মধ্যে জানাজানি হলে সম্পর্ক নিয়ে ঝামেলা চলছিল। ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক চাপ বা অভিমানের কারণেই সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, ওয়াদুদ পড়াশোনার পাশাপাশি ইলেকট্রনিকের কাজ করত। শান্ত স্বভাবের হলেও সম্প্রতি সে বেশ কিছুদিন ধরে চাপে ছিল বলে জানা গেছে। প্রেমঘটিত কারণে আত্মহত্যার বিষয়টি এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
এদিকে পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. এনায়েতুর রহমান জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ হেফাজতে নেওয়া হয়নি। যদি পরবর্তীতে কোনো অভিযোগ আসে, তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, প্রেমের সম্পর্কের কারণে পরিবার থেকে মানসিক চাপ পেয়ে থাকতে পারে ওয়াদুদ। তবে প্রকৃত কারণ উদঘাটনে তদন্ত করা দরকার বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
ওয়াদুদের আত্মহত্যার ঘটনায় পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। গ্রামের মানুষজনও হতবাক, কারণ কয়েকদিন আগেও সে স্বাভাবিক ছিল বলে জানান প্রতিবেশীরা।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় আলোচনা চলছে। আত্মহত্যার কারণ নিয়ে বিভক্ত মত থাকলেও সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আসল কারণ উদঘাটনের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।