বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আজ পুলিশ বাহিনীর নবীন কর্মকর্তাদের শপথ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, যা কোনো দল বা সম্প্রদায়ের নির্দিষ্ট এজেন্ডা অনুসরণ না করে কেবল আইন ও শাসনের ভিত্তিতে হতে হবে। আজ রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সারদা পুলিশ একাডেমির কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি।
উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী নবীন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, তাদের পেশাদারিত্ব, আন্তরিকতা ও দায়িত্বশীলতার সাথে কর্তব্য পালন করতে হবে এবং থানায় আসা মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হয়, সে ব্যাপারে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ কখনো কোনো দলের আজ্ঞাবহ হয়ে কাজ করবে না, বরং আইন এবং মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে। তিনি নবীন কর্মকর্তাদের সতর্ক করে দেন যে, তারা যেন অপেশাদার আচরণ বা বেআইনি কাজ থেকে বিরত থাকে এবং প্রত্যেকটি পদক্ষেপে পেশাদারিত্ব বজায় রাখে।
এই অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরো বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন একটি নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করেছে, এবং পুলিশ বাহিনীকে সেই চেতনা ধারণ করে নিজের গৌরব বজায় রাখতে হবে।
এ সময় তিনি নবীন পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের সম্পন্ন হওয়ার পর তাদের সামনে নতুন দায়িত্বের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আজ তারা সুপ্রশিক্ষিত, মেধাবী এবং চৌকস পুলিশ অফিসার হিসেবে মাঠে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আত্মনিয়োগ করতে যাচ্ছেন।
২০২৩ সালের ২০ অক্টোবর বিসিএস ৪০তম ব্যাচের ৬৬ জন শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারের মৌলিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছিল। এর মধ্যে ২৫ জন শোকজ এবং ছয়জন চাকরিচ্যুত হন, কিন্তু সমাপনী কুচকাওয়াজের মাধ্যমে তারা নতুন দায়িত্ব পালন শুরু করছেন।
এই সমাপনী কুচকাওয়াজে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম এবং সারদা পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান ভূঞা। তারা নবীন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, তারা দেশের সেবায় নিজেদের পেশাদারিত্ব এবং দক্ষতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করবেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা, মিলিটারি কর্মকর্তাসহ পুলিশ বাহিনীর উচ্চ পদস্থ সদস্যরা। অনুষ্ঠান শেষে নবীন পুলিশ কর্মকর্তাদের হাতে অ্যাওয়ার্ড তুলে দেওয়া হয় এবং তাদের নতুন দায়িত্বের জন্য শুভেচ্ছা জানানো হয়।
এদিনের এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুলিশ বাহিনীর একটি নতুন প্রজন্মের সদস্যরা তাদের দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত হয়ে মাঠে নামল, যার মাধ্যমে বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা আরো দৃঢ় হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।