‘সৌন্দর্যবর্ধনের নামে টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে’ রাবি দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষক সমাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সোমবার ২৮শে অক্টোবর ২০১৯ ০৪:৫৮ অপরাহ্ন
‘সৌন্দর্যবর্ধনের নামে টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে’ রাবি দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষক সমাজ

‘দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার। ঠিক সে সময়ে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ে প্রতিটি সেক্টরে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতিতে ছেয়ে গেছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে কথা বললেই রক্তচক্ষু ও বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখায় বর্তমান প্রশাসন। আইন বিভাগের নিয়োগ বাণিজ্যসহ নেদারল্যান্ডের ঘাস লাগানোর নামে ঘাস উঠিয়ে আবার ঘাস লাগিয়ে প্যারিস রোডে ফুটপাত বানানো হয়েছে। এর মাধ্যমে ৮০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। সেটা শিক্ষা মন্ত্রনালয় ও ইউজিসির নিকট সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।  

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে বেলা ১১ টায় ষষ্ঠ দিনের মতো দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষক সমাজের ব্যানারে প্রশাসন বিরোধী মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তারা। মানববন্ধনে শিক্ষকরা বলেন, বর্তমান প্রশাসন মুক্তিযুদ্ধ কর্ণারের কাজ স্থগিত রেখে ঘাস লাগাতে ব্যস্ত। লাইব্রেরিতে মুক্তিযুদ্ধ কর্ণারের কাজ স্থগিত রেখে ৭ পুকুর গবেষণা ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করা হচ্ছে। যারা মুক্তিযুদ্ধ কর্ণারের কাজ স্থগিত রেখে সৌন্দর্য্য বর্ধনের নামে ঘাস উঠানো, লাগানো ও উঠানোতে ব্যস্ত তাদেরকে আমরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের প্রশাসন হিসেবে উল্লেখ করতে পারি না। 

বিশ্ববিদ্যালয়ে সৌন্দর্য্য বর্ধনের নামে একবার ঘাস লাগানোর নামে ঘাস উঠিয়ে আবার ঘাস লাগানো হয়েছে। এবার সেই ঘাস তুলে প্যারিস রোডে ফুটপাত বানানো হচ্ছে। এর মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়াও যেখানে শ্রেণীকক্ষ সংকট, চেম্বার সংকট, ল্যাব সংকট সেখানে এসব প্রকল্প বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থের অপচয় করছে বলেও উল্লেখ্য করেন শিক্ষকরা। ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ মুহাম্মদ আলী রেজার স ালনায় উপস্থিত ছিলেন উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. শহিদুল ইসলাম, আইন অনুষদের সাবেক ডীন অধ্যাপক বিশ^জিৎ চন্দ, সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুজিবুল হক আজাদ খান, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ও সাবেক প্রক্টর তরিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সাবেক প্রশাসক ড. সফিকুন্নবী সামাদী, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এস এম হায়দার, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ড. মো. জিন্নাত আরা বেগম, গণিত বিভাগের অধ্যাপক আশাবুল হক, সাবেক ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক মিজানুর রহমান প্রমুখ।

এর আগে প ম দিনের মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে বর্তমান প্রশাসনের দুর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তাদের অপসারণ না করা পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহে সোমবার ও বৃহস্পতিবার কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দেন। উপাচার্যের ‘জয় হিন্দ’ বলা ও উপ-উপাচার্যের ‘নিয়োগ বাণিজ্য’সহ নানা অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনের অপসারণ দাবি করছেন সরকার দলীয় শিক্ষকদের একটি অংশ। গত ৩ অক্টোবর থেকে দুর্নীতিবাজ উল্লেখ করে প্রশাসনের অপসারণ দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।

ইনিউজ ৭১/এম.আর