চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদের নির্বাচন সোমবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে শেষ হয়েছে। ভোটগ্রহণ শেষে নির্বাচনী পোস্টারগুলো ছিঁড়ছিল নুর। সে ২য় শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
পোস্টার ছিঁড়তে ছিঁড়তে নুর বলে, ‘আমার বাবা দিন মজুর। কখনও খাতা কিনে দিতে পারে, আবারও কখনও পারে না। তাই আমি এগুলো বাসায় নিয়ে গিয়ে বেঁধে খাতা বানাব। রাফ খাতার জন্যে অনেক কাজে দিবে।’
নুরের বাবা শামীম বলেন, ‘ছেলেদের লেখাপড়া করানোর সামর্থ্য আমার নেই। যতটুক পারি চেষ্টা করি। কখনও হয়ত দিতে পারি, আবার কখনও সম্ভব হয়ে ওঠে না। সর্বোচ্চ চেষ্টা করি সন্তানদের জন্য কিছু করার।’
তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে নুর ছোট থেকে মেধাবী। সে পড়তে আগ্রহী। ভোট দেখতে এসে তার মাথায় খেয়াল হলো— এতগুলো পোস্টার দিয়ে খাতা বানালে তাতে লেখা যাবে।’
ভোট কেন্দ্রের সামনে পোস্টার ছিঁড়ছিলেন মোবারক। তিনি বলেন, ‘পোস্টার দিয়ে কাগজের ঠোঙা বানানো যাবে এবং বিক্রি করে আয়ও হবে। নির্বাচনী মৌসুমে এসব করে সংসারের কিছুটা খরচ সামাল দেওয়া যায়।’
নির্বাচনে পোস্টার সংগ্রহ করছিলেন বাদাম বিক্রেতা শামীম। তিনি বলেন, ‘কাগজের ঠোঙা ব্যবহার করে বাদাম দেওয়া যায়। এখন তো কাগজের দাম বেশি, তাই আমার এইগুলো ব্যবহার করলে কিছু টাকা সাশ্রয় হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।