কুবিতে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে আহত ১০

নিজস্ব প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: শুক্রবার ১৫ই অক্টোবর ২০২১ ০১:০৬ অপরাহ্ন
কুবিতে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে আহত ১০

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) সিনিয়রকে নাম ধরে ডাকাকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলে এ ঘটনা ঘটে। এতে দুই পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।


প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মী এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ১৩ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী বাঁধন নিজের রুমে নৃবিজ্ঞান বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তানজিম হোসেন সোহাগের নাম ধরে ডাকেন। ঐ রুমের বাসিন্দা সোহাগের বন্ধু ওয়াকিল বিষয়টি শুনলে ১২তম ব্যাচের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শাফী, সোহাগ ও ওয়াকিল ২০০৩ নম্বর রুমে বাঁধনকে ডেকে শাসান।


এক পর্যায়ে বাঁধনকে তারা চড় মারেন। এ ঘটনার পর বাঁধন তার বন্ধুদের বিষয়টি জানালে ১৩ তম ব্যাচের সবাই একত্রিত হয়ে রাতে সাড়ে ১০ টার দিকে ২০০৩ নম্বর রুম থেকে শাফীকে ডেকে নিয়ে যান। এসময় হানিফ, সাদমান, মিরাজ, রবিনসহ ৮ থেকে ১০ জন শাফীকে এলোপাথাড়ি মারধর করেন। পরে হল শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ১৩ তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদেরকে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মাজেদের রুমে (৩০৩) ডেকে একদফা মারধর করেন। এরপর বিচার করার কথা বলে একই রুমে পুনরায় তাদেরকে মারধর করেন শাখা ও হল ছাত্রলীগের নেতারা। এসময় ১৩ তম ব্যাচের বেশ কয়েকজন আহত হন।


শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মাজেদ বলেন, ঘটনায় জড়িত সবাই হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মী। নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থেকে হাতাহাতি হয়েছে। আমরা সিনিয়রদের সঙ্গে বসে বিষয়টি সমাধান করেছি। পরবর্তীতে সভাপতির সঙ্গে কথা বলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।


শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ জুলহাস মিয়া বলেন, বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। এটি হলের অভ্যন্তরীণ বিষয়, আমরা বসে বিষয়টি সমাধান করে দিব।


প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, আবাসিক হলের বিষয়গুলো প্রভোস্ট দেখভাল করেন। হল প্রভোস্টসহ হলের যারা দায়িত্বে রয়েছেন তারা প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দিলে বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।