আগামী নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার। একই সঙ্গে অতীতের নির্বাচনী অপরাধে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করার কথা বলেন তিনি।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ খান মিলনায়তনে 'ভোটার সচেতনতা ও নাগরিক সক্রিয়তা কার্যক্রম' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন বদিউল আলম।
তিনি বলেন, "গত কয়েকটি নির্বাচনে যারা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে বা অপরাধ করেছে, তাদের ২ থেকে ৭ বছরের শাস্তি হওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তেমন কোনো শাস্তি কার্যকর হয়নি। এ ধরনের অপরাধের বিচার হলে ভবিষ্যতে কেউ নির্বাচনী অনিয়ম করতে সাহস পাবে না।"
বদিউল আলম আরও বলেন, "অভ্যুত্থানের অন্যতম দাবি ছিল নির্বাচন ও প্রশাসনিক সংস্কার। কিন্তু অনেকেই এ দাবি উপেক্ষা করেছেন। গভীর সংস্কার ছাড়া প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।"
তিনি জনগণকে সচেতন করার ওপর জোর দিয়ে বলেন, "গণমাধ্যমের সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন। প্রথমে আমাদের নিজেদের মধ্যে পরিষ্কার ধারণা তৈরি করতে হবে এবং তারপর জনগণের কাছে এটি তুলে ধরতে হবে।"
বৈষম্যের বিষয়ে তিনি বলেন, "অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্য দিন দিন বাড়ছে। বৈষম্যের অবসান ঘটানো এই অভ্যুত্থানের অন্যতম দাবি ছিল। মানবতাবিরোধী অপরাধ, অর্থনৈতিক অপরাধ এবং অন্যান্য অপরাধে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ছাড়া সমাজে ভারসাম্য আসবে না।"
বদিউল আলম আরও জানান, প্রধান উপদেষ্টার কাছে তারা কিছু প্রস্তাব জমা দিয়েছেন। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ইভিএম বাতিল এবং অতীতে ইভিএম ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম হয়েছে কি না, তা তদন্ত করা প্রয়োজন। পাশাপাশি "না ভোট" ব্যবস্থার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।
এই আলোচনা সভায় অংশগ্রহণকারীরা নির্বাচন সংস্কার এবং জনগণের অধিকার রক্ষার বিষয়ে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। ইভিএম বাতিল এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করার মাধ্যমে ভবিষ্যতের নির্বাচনগুলোতে সুষ্ঠুতা ফিরিয়ে আনার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন বক্তারা।
ইনিউজ৭১-এ নির্বাচনী সংস্কারের খবরের জন্য নজর রাখুন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।