স্পষ্ট বার্তা মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী সদস্যদের শান্তিরক্ষা মিশনে স্থান নেই-সেনাপ্রধান

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার ২৬শে অক্টোবর ২০২৪ ১১:২১ পূর্বাহ্ন
স্পষ্ট বার্তা মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী সদস্যদের শান্তিরক্ষা মিশনে স্থান নেই-সেনাপ্রধান

র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নে (র‍্যাব) প্রেষণে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের শান্তিরক্ষা মিশনে নির্বাচিত করা হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। জাতিসংঘের নিউইয়র্ক সদর দপ্তরে সংগঠনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ বিষয়টি তুলে ধরেন।


শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়েছে। সফর শেষে দেশে ফিরেছেন জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, যিনি গত ১৭ অক্টোবর জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশ নেন।


জেনারেল জামান বলেন, র‍্যাবের সঙ্গে যারা প্রেষণে নিয়োজিত রয়েছেন, তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ থাকলে তা তদন্ত করা হবে এবং প্রমাণিত হলে শান্তিরক্ষা মিশনে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে না। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মহলে মানবাধিকার নিয়ে আরও সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের ভাবমূর্তি রক্ষা করতে চায়।


বৈঠককালে সেনাবাহিনী প্রধান উল্লেখ করেন, বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের প্রশংসা করেছেন জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তিনি জানান, শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশি বাহিনীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।


এছাড়া, সেনাপ্রধান চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দিকনির্দেশনার কথা তুলে ধরে সেনাবাহিনীর উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করেন।


জাতিসংঘে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে শান্তিরক্ষী মিশনে কার্যকর প্রশিক্ষণ বিনিময়, আভিযানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়গুলোর উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। তিনি বিশ্ব শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের অবদান পুনর্ব্যক্ত করেন এবং তাদের সামনের দিনগুলোতে আরও কার্যকরী ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।


জেনারেল জামানের এই সফর দেশের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের ওপর একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের সুনাম বৃদ্ধির পাশাপাশি মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়গুলোতে সচেতনতা বাড়াতে সহায়ক হবে।