ইরানে হামলার মুহূর্তে বাংকারে নেতানিয়াহু ও গ্যালান্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার ২৬শে অক্টোবর ২০২৪ ১১:১২ পূর্বাহ্ন
ইরানে হামলার মুহূর্তে বাংকারে নেতানিয়াহু ও গ্যালান্ট

 ### ইরানে ইসরায়েলের ব্যাপক হামলা: তেহরানে বিস্ফোরণের আওয়াজ


প্রতিশোধের লক্ষ্য নিয়ে ইরানে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এই হামলার ফলে রাজধানী তেহরান ও পার্শ্ববর্তী কারাজ শহরে বড় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। হামলার সময়, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট একটি ভূগর্ভস্থ বাংকারে অবস্থান করছিলেন।


ইসরায়েল সরকারের পক্ষ থেকে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, নেতানিয়াহু হামলার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছেন। গত ১ অক্টোবর ইরান ইসরায়েলে ২০০-এরও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। সেই সময় নেতানিয়াহু ইরানকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, "এটা একটি কড়া মূল্য হবে।" তার এই হুঁশিয়ারির পরপরই ইরানের উপর হামলার খবর এসেছে।


যুক্তরাষ্ট্র এই হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে, তবে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তিনি পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। ইরানে হামলার ফলে সৃষ্ট অস্থিরতা এবং বিপর্যয়ের প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বেড়ে গেছে।


এদিকে, হামলার পর ইরানের সরকার এখনও প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেনি। তবে, এই হামলার ফলে ইরান সরকারের মধ্যে একটি নতুন উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে, যা দেশটির নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য সংকট সৃষ্টি করতে পারে। সশস্ত্র সংঘাতের এই পরিণতি পূর্ব মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলবে বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।


বিশেষজ্ঞদের মতে, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে এই সংঘর্ষ কেবল সামরিক স্তরেই সীমাবদ্ধ নয়; এটি দুই দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে, এই হামলা ইরানের জনগণের মধ্যে আরও উদ্বেগ তৈরি করবে এবং সরকারের প্রতি আস্থা নষ্ট করতে পারে।


আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের এই নতুন পর্যায়টি একটি সংকেত, যা বোঝায় যে, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা এখনও অব্যাহত রয়েছে এবং পরিস্থিতি যেকোনো মুহূর্তে আরও খারাপ হতে পারে।