রাজবাড়ীতে ছাত্রলীগ নেতা সবুজ হত্যার ক্লুলেস মামলার প্রধান দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৮ সদস্যরা। ৩০ এপ্রিল দিবাগত রাত ৩টার দিকে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে রাজবাড়ী সদর থানার কাছুন্দি এবং মাটিখোলা গ্রাম এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করেন তারা। আটককৃতরা হলেন রাজবাড়ী সদর থানার কাছুন্দি গ্রামের মোঃ সামু মোল্লার পুত্র মোঃ হালিম মোল্লা (৩০), ও মাটিখোলা গ্রামের মোঃ মহন মোল্লার পুত্র মোঃ বক্কার মোল্লা (৩৫)।
আজ সন্ধ্যায় প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে র্যাব-৮।
সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টার দিকে অজ্ঞাতনামা অস্ত্রধারীরা ভিকটিমের বসতঘরে ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটায় এবং ভিকটিমের বসতঘরের জানালা দিয়া হত্যার উদেশ্য এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষন করতে থাকে। অজ্ঞাতনামা অস্ত্রধারীদের ছোড়া গুলিতে ভিকটিমের বাম চোখসহ বাম চোখের চারিপাশে এবং কপালে গুলি লাগিয়া গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম হয় এবং প্রচুর রক্তপাতের ফলে তার মৃত্যু হয়।
পরবর্তীতে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটা হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ দুইজন সন্দেহজনক আসামী গোলাম মোস্তফা এবং আজিজুল ইসলাম @যুবরাজকে গ্রেফতার করে। পুলিশের গ্রেফতার করা উক্ত আসামীদের ১৬৪ এ দেওয়া জবানবন্দীর ভিত্তিতে র্যাব -৮ ফরিদপুর ক্যাম্প র্যাবের গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতায় গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৮, ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোম্পানী অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার কে এম শাইখ আকতার এবং সিনিঃ এএসপি মোঃ নাজমুল হকের নেতৃত্বে ৩০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৩টার দিকে রাজবাড়ী জেলার রাজবাড়ী সদর থানার কাছুন্দি এবং মাটিখোলা গ্রামস্থ এলাকা থেকে ছাত্রলীগ নেতা সবুজ শেখের ক্লুলেস হত্যা মামলার অজ্ঞাতনামা দুই সদস্যকে বিশেষ অভিযান পরিচালনায় গ্রেফতার করে। উক্ত ঘটনার গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ হালিম মোল্লা ও মোঃ বক্কার মোল্লার নামে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
র্যাব-৮ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মাহমুদুল হাসান, পিবিজিএম, পিএসসি, এর সার্বিক তত্বাবধানে র্যাবের গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতায় অপারেশনাল কার্যক্রমটি পরিচালনা করা হয়। পরবর্তীতে উক্ত আসামিদের রাজবাড়ী জেলার রাজবাড়ী সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।