বগুড়ার শিবগঞ্জে এরশাদুল ইসলাম (৩৮) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে তার ‘বিশেষ অঙ্গ’ কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। হত্যার অভিযোগে এক গৃহবধূকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শিবগঞ্জ উপজেলার মাদারগাছি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত এরশাদুল ইসলাম উপজেলার কিচকের ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।
জানা যায়, নিহত এরশাদুল একই এলাকার এক গৃহবধূকে তার স্বামীর অনুপস্থিতিতে বাড়িতে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টা করে। তখন ওই গৃহবধূ ব্লেড দিয়ে তার ‘বিশেষ অঙ্গ’ কেটে গুরুতর আহত করে। আহত এরশাদুলের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে তার মৃত্যু হয়।
গৃহবধূর স্বামী রুবেল মিয়া জানান, এরশাদুল এর আগে ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তার স্ত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা করেছিলো। ওই ঘটনায় সে কারাগারে ছিলো। কিছুদিন আগে জামিনে বের হয়ে আবারও তার স্ত্রীকে উত্যক্ত করতে থাকে। সোমবার সন্ধ্যায় বাজারে গেলে এরশাদুল তার স্ত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা করে। এ সময় তার স্ত্রী ব্লেড দিয়ে এরশাদুলের ‘বিশেষ অঙ্গ’ কেটে দেয়।
নিহতের ভাই শাহীন মিয়া জানান, পরিকল্পিতভাবে তার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। ওই গৃহবধূর করা মামলায় জামিনে বের হওয়ার পর ২ লাখ টাকায় আপোস করার কথা বলে তার ভাইকে ডেকে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে।
ছিলিমপুর হাসপাতাল ফাঁড়ির উপপরিদর্শক আনিসুর রহমান জানান, এরশাদুলকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণজনিত কারণে মঙ্গলবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
শিবগঞ্জ থানার ওসি মনজুরুল আলম জানান, এরশাদুলের বিরুদ্ধে গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার মামলা ছিলো। মামলার চার্জশিটও দাখিল করেছিলো পুলিশ এরশাদুল হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।