চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে মো. মানিক হোসেন (১৬) নামে এক কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে তাকে চাঁদপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
শাহরাস্তি মডেল থানা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চিতোষী পূর্ব ইউনিয়নের কাদরা মিঞা বাড়ির শাহাদাত হোসেন বাবুর ছোট মেয়ে তানহা আক্তার নাদিয়া (০৮) কাদরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। বিকেলে সে বাড়ির পাশের ব্র্যাক স্কুলেও পড়তো। রোববার (৬ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার সময় ব্র্যাক স্কুলের ক্লাস শেষে বাড়িতে বই খাতা রেখে খেলতে যায় নাদিয়া। সন্ধ্যা হয়ে গেলেও মেয়ে বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজতে থাকে। একপর্যায়ে রাতে বাড়ির পাশে কবরস্থানের পূর্ব পাশে ডোবার মধ্য থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। দ্রুত স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন তিনি।
খবর পেয়ে শাহরাস্তি মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহাল শেষে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় রাতেই পুলিশ জড়িত সন্দেহে খেড়িহর তেলি বাড়ির আবদুল কাদেরের ছেলে মো. মানিককে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ পানিতে ডুবিয়ে দিয়েছে।
নিহত শিশুর মা তাসলিমা আক্তার বলেন, খেলতে গিয়ে নাদিয়া ফিরে না আসায় আশপাশে খুঁজতে থাকি। একপর্যায়ে মানিকের দেখানো স্থানে গিয়ে কবরস্থানের পূর্ব পাশের ডোবায় তাকে খুঁজে পাই। যারা আমার বুক খালি করেছে আমি তাদের বিচার চাই।
শাহরাস্তি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মান্নান বলেন, ভোর রাতে কিশোর মানিককে আটক করা হয়েছে। সে তার মামার বাড়িতে থাকতো। মানিক এলাকায় ছিঁচকে চোর হিসেবে পরিচিত। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় নাদিয়া প্রায়ই তাকে চোর বলে ক্ষ্যাপাতো। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ঘটনার দিন সন্ধ্যায় সে নাদিয়াকে বাড়ির পার্শ্ববর্তী কবরস্থানের পূর্ব পাশে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। ওই সময় শিশুটি চিৎকার দিলে সে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ডোবার পানিতে চুবিয়ে দেয়।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।