বগুড়া জেলা শহরে এক ঘণ্টার ব্যবধানে চার শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে তারা শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বুধবার দুপুর দেড়টায় তিনমাথা আদর্শ ডিগ্রি মহাবিদ্যালয় ও আমতলা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ অপরাধীদের গ্রেপ্তার বা শনাক্ত করতে পারেনি।
ছুরিকাহত চার শিক্ষার্থী হলো, সরকারি আজিজুল হক কলেজের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মোঃ তুষার (২০), সরকারি শাহ সুলতান কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী সোহান আলী (১৯), পল্লীমঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মোঃ রাশেদ (১৮) ও ক্যাডেট মাদ্রাসা পালশার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মোঃ সাকিব (১৬)।
এদের মধ্যে তুষারকে বেলা দেড়টায় আমতলা মোড় ও বাকি তিনজন বেলা আড়াইটায় আদর্শ ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ের সামনে ছুরিকাঘাত করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ছুরিকাহত চার শিক্ষার্থী কেউ কারও পূর্বপরিচিত নয়। এছাড়াও ১০ থেকে ১৫ জনের দুর্বৃত্তরা ঘটনাটি ঘটিয়েছে, তাদের কাউকে এই চার শিক্ষার্থী শনাক্ত করতে পারেনি। প্রাথমিকভাবে চার শিক্ষার্থী জানিয়েছে, দুর্বৃত্তদের সবার হাতে দেশীয় অস্ত্র ও হকিস্টিক ছিল।
সরকারি আজিজুল হক কলেজের বাংলা বিভাগের ছুরিকাহত শিক্ষার্থী তুষার বলেন, দুপুরে ছাত্রবাস থেকে বের হয়ে আমতলা মোড়ে গিয়েছিলাম। এ সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেলযোগে এসে আমার মুঠোফোন ও ম্যানিবাগ কেড়ে নেয়। তাদের বাধা দিতে গেলে আমাকে ছুরিকাহত করে ও হকিস্টিক দিয়ে পেটায়।
পল্লীমঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাশেদ বলেন, আমি স্কুল শেষ করে বাড়ি ফিরছিলাম। এ সময় ১০ থেকে ১৫ জন যুবক দেশীর অস্ত্র ও হকিস্টিক হাতে আমাকে ডাক দেয়। তাদের কথা না শুনে পালানোর চেষ্টা করলে আমাকে ছুরিকাহত করে। আমি তাদের কাউকেই চিনি না।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আলম বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি, একই গ্রুপ ঘটনাটি ঘটিয়েছে। এখনও কাউকে শনাক্ত বা গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশের একাধিক টিম অপরাধীদের গ্রেপ্তারে মাঠে রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।