কাঠালিয়ায় পুলিশ পরিচয়ে ব্যবসায়ী পরিবারকে বেঁধে লুটপাট

হারুন অর রশিদের পরিবারের সদস্যরা জানান, আনইলবুনিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী নাসির খান সরোয়ারের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা রামদা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মুখোশ পরা অবস্থায় রাত ৪টার দিকে হামলা চালায়। হামলার সময় হারুন, তার স্ত্রী, ছেলে মেহেদী, পুত্রবধূ এবং তিন কন্যাসহ আটজনকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। তারা ঘর থেকে ৮ ভরি স্বর্ণালংকার, ৫টি মোবাইল, নগদ ৭৪ হাজার টাকা এবং জমিজমার গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র লুটে নেয়।

পরিবারের অভিযোগ, বাহিরে থাকা অর্ধশতাধিক সন্ত্রাসী কাঁঠালিয়া-আমুয়া সড়কের পাশে হারুনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে। মুদি-মনোহরী, কসমেটিকস, পোলট্রি, চা ও কনফেকশনারীসহ ৬টি দোকান সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এসব দোকান থেকে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার মালামাল ও নগদ অর্থ লুটে নেওয়া হয়।

হারুনের ছেলে মেহেদী জানান, আত্মীয়স্বজনরা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে ঘটনাস্থল থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরের কাঁঠালিয়া থানা থেকে দুই পুলিশ সদস্য প্রায় আড়াই ঘণ্টা পরে এসে পরিবারের বাঁধন খুলে দেয়। তবে ততক্ষণে সব লুটপাট শেষ হয়ে যায়।

ভুক্তভোগীরা জানান, থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি এবং এখনো কোনো দৃশ্যমান তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়নি। এমনকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপও নেয়নি প্রশাসন। তারা আশঙ্কা করছেন, সরোয়ারের লোকজন রাতের আঁধারে জমিতে ঘর উঠানোর চেষ্টা করতে পারে।

বাজার কমিটির সহ-সভাপতি জানান, হারুন অর রশিদ দীর্ঘদিন ধরে ওই স্থানে বৈধভাবে ব্যবসা করে আসছিলেন। অভিযুক্ত ব্যবসায়ী নাসির খান সরোয়ারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। থানার ওসি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও গণমাধ্যমের সামনে কথা বলতে রাজি হননি।

এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ ও ন্যায়বিচার দাবি করেছে।