প্রকাশ: ১২ জুন ২০২২, ২:৪৮
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে ইউপি সদস্য বাদশার বাড়িতেই বসে ফেনসিডিলের আসর। প্রতিদিন ফেনসিডিল বিক্রি করে তারই স্ত্রী স্বপ্না বেগম।
জানা গেছে, বাদশা মিয়া কালীগঞ্জ উপজেলার গোড়ল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৪নং ওয়ার্ড সদস্য। তিনি ওই ওয়ার্ডের মালগাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
আরও জানা গেছে, সীমান্ত ঘেঁষা গ্রাম মালগাড়া চোরাচালানের আখড়া। সব থেকে বেশি পাচার হচ্ছে মাদক। বিভিন্ন ধরনের মাদকের মধ্যে স্থানীয় মাদকসেবীদের কাছে বেশি পছন্দ ফেনসিডিল। সীমান্তের নিকটবর্তী হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে এ ব্যবসায় জড়িত বাদশা মিয়া। ব্যবসা ঠিক রাখতে এবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে গোড়ল ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
আরও অভিযোগ আছে, দীর্ঘদিন এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকায় স্থানীয় প্রশাসনকেও হাত করে ফেলেছেন বাদশা মিয়া। তাই মাদক বিক্রেতা ও চাহিদা বিবেচনায় স্থানীয় মাদকসেবীদের জন্য নিজ বাড়িতেই ফেনসিডিলের প্রকাশ্য দোকান খুলেছেন ইউপি সদস্য বাদশা মিয়া। তার বিশাল বাড়ির বারান্দায় বসার ও বিশ্রামের ব্যবস্থাও রয়েছে। প্রতিনিয়ত মাদকসেবীরা তার বাড়িতেই ভিড় জমান। হাতের কাছে নিরাপদ মাদক সেবনের ব্যবস্থা পেয়ে উঠতি স্কুল-কলেজ পড়ুয়া কিশোর-তরুণ ছুটে আসে।
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, ইউপি সদস্য বাদশার স্ত্রী স্বপ্না বেগম নিজেই তার বাড়িতে চাহিদামত ফেনসিডিল পরিবেশন করেন, গ্লাসে ঢেলে দেন ফেনসিডিল। ফেনসিডিল পান করতে যা প্রয়োজন সবই রয়েছে তাদের টেবিলে। ১০০ মিলিগ্রাম এক বোতল ফেনসিডিলের খুচরা দাম ধরা হয় এক হাজার থেকে ১১শ’ টাকা। যার যত গ্রাম দরকার, তাকে তত গ্রাম গ্লাসে ঢেলে দিয়ে টাকা নেন। ইউপি সদস্যের বাড়িতে মাদক সেবনে প্রশাসনের ঝামেলা নেই- এটা ভেবে মাদকসেবীরা আসেন ইউপি সদস্য বাদশার বাড়িতে।
ভিডিওতে দেখা যায়, ইউপি সদস্য বাদশার স্ত্রী স্বপ্না বেগম টাকা নিয়ে নিজেই পাশের রুম থেকে ফেনসিডিল এনে টেবিলের গ্লাসে পরিবেশন করছেন। পুরো বোতল নয়, বোতলের অর্ধেক বা এক ফেনসিডিল সেবন করারও ব্যবস্থা রয়েছে। যত টাকা, ততটুকুই ফেনসিডিল গ্লাসে পরিবেশন করা হয়।