জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে নিজ বাড়িতে আয়েশা ছিদ্দিকা (২২) নামের এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার আটাপুর ইউনিয়নের মাঝিনা গ্রামে। আয়েশা ছিদ্দিকা জয়পুরহাট সরকারী কলেজের উদ্ভিদ বিদ্যা বিভাগের অর্নাস প্রথম বর্ষের ছাত্রী ও ওই গ্রামের মোজাম্মেল হকের মেয়ে।
সরেজমিনে গিয়ে নিহতের বড় ভাই ও প্রতিবেশি সূত্রে জানা গেছে, ঈদের পরের দিন আয়েশা ছিদ্দিকাকে বাড়ীতে রেখে তার ভাই ও ভাবী শ্বশুর বাড়ীতে বেড়াতে যান। শুক্রবার (৬ই মে) সকালে আয়েশা প্রতিবেশি মহিলাদের সঙ্গে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের স্বপ্নপুরীতে পিকনিকে বেড়াতে যান। রাত ৯ টার দিকে বাড়ীতে এসে বাড়ীতে কেউ না থাকায় পাশের বাড়ীর দুই ভাতিজিকে নিয়ে ঘরে শুয়ে পড়ে।
রাত ১১টার দিকে আয়েশা ভাতিজিদের ঘরে রেখে পাশের ঘরে ফোনে কথা বলতে যায়। তারা ধারনা করে যে,রাতের কোন এক সময় কে বা কাহারা কৌশলে বাড়ীর সীমানা প্রাচীর টপকিয়ে ভিতরে ঢুকে আশেয়ার মুখে কাপড় গোঁজে ধর্ষণের পর হত্যা করে পালিয়ে যায়।
সকালে অন্য ঘরে শুয়ে থাকা ভাতিজিরা জেগে উঠে ঘর থেকে বাহির হতে গিয়ে বাহির থেকে ঘরের দরজা আটকানো থাকায় ডাকাডাকি করলে পাশের বাড়ী থেকে তাদের মা এসে দরজা খুলে বাড়ীতে প্রবেশ করে দেখতে পান আয়েশার মুখে কাপড় গোঁজা ও বিবস্ত্র মৃত দেহ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখে। এ ঘটনা দেখে সে চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন এসে পুলিশে খরব দেয়।
এব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পাঁচবিবি সার্কেল) ইশতিয়াক আলম বলেন,সংবাদ ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে আসি।প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে,মেয়েটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তবে ময়ন্ত তদন্ত রিপোর্টের পর হত্যার কারণ ও আসামীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।