ময়মনসিংহের নান্দাইলে দুই গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর এক ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে। ওই দুই গৃহবধূ একই পরিবারের। তাদের স্বামীর বাড়ি নান্দাইল উপজেলার আচারগাঁও গ্রামের সিংদই কাগদ্বারা গ্রামে। অভিযুক্ত দেবরের নাম ওয়াসিম মিয়া (২২)। দুই গৃহবধূর স্বামী একজন সৌদি প্রবাসী ও অন্যজন ঢাকায় থাকেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই মাস পূর্বে বাড়ির বড় ও ছোট গৃহবধূকে পৃথকভাবে বিভিন্ন প্রলোভনে কু-প্রস্তাব দেয়। ওই দুই গৃহবধূ কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিভিন্ন ধরনের হুমকিও প্রদর্শন করতে থাকে ওয়াসিম মিয়া। পরে এ বিষয়টি বাড়ির লোকজন সহ গৃহবধূ তাদের শ্বশুরকে জানালে ওয়াসিম মিয়ার আরো বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। উল্টো শ্বশুর তার গৃহবধূদের হুমকী দেয়।
একপর্যায়ে গত ৩০ মার্চ রাতে ওয়াসিম মিয়া সুকৌশলে বাড়ির ছোট গৃহবধূর রুমে প্রবেশ করে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ও শ্লীলতাহানি ঘটায়। এতে গৃহবধূর ডাক চিৎকার করলে ওয়াসিম মিয়া দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। লোক লজ্জার কারণে গৃহবধূর স্বামী বিষয়টি নিয়ে কোন সালিশ-দরবার করেনি। ফলে ওয়াসিম মিয়ার অত্যাচার আরও বেশি বেড়ে যায়।
এরপর ৩ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওয়াসিম মিয়া বাড়ির বড় বধূর (দুই সন্তানের জননী) রুমে প্রবেশ করে ঘুমন্ত অবস্থায় জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় গৃহবধূর ডাক চিৎকারে বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসিলে দেবর ওয়াসিম দৌঁড়াইয়া পালিয়া যায়।
এমনকি যাওয়ার সময় গৃহবধূকে এ বিষয়ে কোনো সালিশ দরবার না করার হুমকি প্রদান করে। দেবর ওয়াসিম মিয়ার এরকম শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে বাড়ির বড় গৃহবধূ বাদী হয়ে নান্দাইল মডেল থানায় একটি আভিযোগ দায়ের করেন।
এ ঘটনার পর নান্দাইল মডেল থানার উপ-পরিদর্শক পূর্ণ চিচাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অজ্ঞাতকারণে মামলাটি নথিভূক্ত না হওয়ায় আসামী ওয়াসিম মিয়া ও তাঁর বাবা মোফাজ্জল হোসেন বাদীকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়া আসছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ওয়াসিম মিয়ার ব্যবহৃত মোবাইলফোন নম্বরে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও কেউ রিসিভ করেননি।
এদিকে, দুই গৃহবধূ আসামি ওয়াসিম মিয়ার নির্যাতন থেকে রেহাই পেতে ঊর্ধ্বতন পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।