নেত্রকোণা জেলা শহরের সাতপাইস্থ টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পিছনের এলাকায় তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী রানী আক্তার (২৫) কে গলায় ধারালু ছুরি চালিয়ে হত্যা প্রচেষ্টার ১২ ঘন্টার মধ্যে অভিযুক্ত প্রাক্তন স্বামী মোজাম্মেল হককে (৩০) দুর্গাপুর উপজেলার বিরিশিরি এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে নেত্রকোণা মডেল থানা পুলিশ।
নেত্রকোণা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার সাকের আহম্মেদ জানান, নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার বড়তলী বানীহারি ইউনিয়নের কুলংকা গ্রামের বকুল খাঁর ছেলে মোজাম্মেল হকের সাথে ১৪ বছর পূর্বে একই গ্রামের আব্দুল মন্নাফের মেয়ে রানী আক্তারের বিয়ে হয়। বিগত তিন মাস পূর্বে দামপত্য কলহের কারণে রানী আক্তার মোজাম্মেলকে তালাক দেয়।
গত ১২ই ফেব্রুয়ারী মোজাম্মেল হক জানতে পারে, তার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী রানী আক্তার নেত্রকোণা জেলা শহরের সাতপাইস্থ টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পিছনে তার ছোট বোনের ভাড়া বাসয় বেড়াতে এসেছে। সে একটি ধারালো ছুরি নিয়ে ছোট বোনের বাসা থেকে কৌশলে রানী আক্তারকে বের করে এনে গলায় ধারালো ছুরি চালিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। এ সময় রানী আক্তারের আর্ত চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে মোজাম্মেল দৌড়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন রানী আক্তারকে মমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে নেত্রকোণা হাসপাতালে ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করে।
খবর পেয়ে পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সির দিকনির্দেশনায় অফিসার ইনচার্জ খন্দকার সাকের আহম্মেদ এর সার্বিক তত্তাবধানে ওসি তদন্ত সোহেল রানার নেতৃত্বে একটি টিম আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনার ১২ ঘন্টার মধ্যে শনিবার রাত ১০টার দিকে অভিযুক্ত স্বামী মোজাম্মেল হককে দূর্গাপুর উপজেলার বিরিশিরি থেকে আটক করে।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত মোজাম্মেল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ও তার দেখানো স্থান থেকেই হত্যা প্রচেষ্টায় ব্যাবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় ভিকটিমের বড় ভাই মনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে আজ রবিবার দুপুরে আটককৃত মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে একটি হত্যা প্রচেষ্টার মামলা দায়ের করে।
পরে পুলিশ বিকেলে আটককৃত মোজাম্মেলকে আদালতে পাঠালে বিজ্ঞ বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ প্রদান করে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।