ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যায় দুই ঘাতক গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক
জেলা প্রতিনিধি-খুলনা
প্রকাশিত: শনিবার ২৯শে জানুয়ারী ২০২২ ০৩:৩০ অপরাহ্ন
ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যায় দুই ঘাতক গ্রেফতার

খুলনার ফুলতলায় ধর্ষণের পর তরুণীকে হত্যা করে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করার ঘটনার মূলহোতা ঘাতক রিয়াজ ও সোহেলকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। গ্রেফতারের পর র‌্যাবের কাছে প্রাথমিকভাবে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে রিয়াজ ও সোহেল। উদ্ধার করা হয়েছে ওই তরুণীর মাথা, পোশাক ও হত্যায় ব্যবহৃত বঁটি। 


ফুলতলায় তরুণীর মাথাবিহীন লাশ উদ্ধারের চার দিনের মাথায় রহস্য উন্মোচিত হলো। মুসলিমা নামে ওই তরুণীকে তার প্রেমিক বন্ধুকে নিয়ে গণধর্ষণের পর হত্যা করে।


 

শনিবার (২৯ জানুয়ারি) তাদের (রিয়াজ ও সোহেল) নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে র‌্যাব-৬-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোসতাক আহমেদ।


তিনি জানান, ফুলতলা আইয়ান জুট মিলের শ্রমিক মুসলিমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে রিয়াজের। সে সূত্র ধরে গত ২৫ জানুয়ারি রাতে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সহযোগী সোহেলকে সঙ্গে নিয়ে গণধর্ষণ করে। পরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে পাশের একটি গাছে ঝুলিয়ে রাখে।


র‌্যাবের  এ কর্মকর্তা জানান, লাশের পরিচয় গোপন করার কথা ভেবে গাছ থেকে আবার লাশ নামিয়ে ধারালো বঁটি দিয়ে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে পাশের একটি বাড়ির মেঝেতে বালুর মধ্যে তা লুকিয়ে রাখে। পরে লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তারা।


তথ্যপ্রযুক্তি ব্যাবহার করে ঘটনার মূলহোতা রিয়াজকে ফরিদপুর ও তার সহযোগী সোহলকে ফুলতলা উপজেলার যুগ্মিপাশা গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো বঁটি ও পোশাক উদ্ধার করেছে র‍্যাব। মুসলিমার গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরায় বলেন তিনি।

 

স্থানীয়দের অভিযোগ, বখাটে ও প্রতারক রিয়াজ প্রায়ই মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করত। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি নিহতের বোন ও এলাকাবাসীর।


গত ২৬ জানুয়ারি বুধবার সকালে ফুলতলা উপজেলার উত্তরডিহি গ্রাম থেকে এক নারীর মস্তকবিহীন লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে নিহত মুসলিমার বোন আকলিমা মরদেহ শনাক্ত করে। তিনি জানান, ঘটনার আগের দিন রাত ৮টায় একটি ফোন পেয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যায় মুসলিমা। রাত গভীর হওয়ার পরেও ফিরে না আসায় ফুলতলা থানায় জিডি করে। ঘটনার পর থেকে ছায়া তদন্ত শুরু করে র‌্যাব। 


এরপর তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রথমে ঘটনার মূলহোতা রিয়াজকে ফরিদপুর থেকে গ্রেফতার করে। পরে তার সহযোগী ফুলতলা উপজেলার যুগ্মিপাশা গ্রাম থেকে সোহেলকে গ্রেফতার করে।