ওসি প্রদীপ আত্মস্বীকৃত খুনি বলে মন্তব্য করেছেন মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী ও কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সাবেক সরকারি কৌঁসুলি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর।
তিনি বলেন, মেজর সিনহাকে হত্যা করার পর সেই খুনকে জায়েজ করতে তিনটি মামলা করা হয়। ওই তিন মামলাতেই ওরা স্বীকার করে নিয়েছে ওরা খুনি।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) ওসি প্রদীপ হত্যা মামলায় রায়ের আগে আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, মেজর সিনহাকে হত্যার নন্দ দুলাল টেকনাফ থানায় বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। এরপর ওসি প্রদীপের নির্দেশে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের আইসি লিয়াকত ও নন্দদুলাল ফোর্স নিয়ে শামলাপুরের এপিবিএন চেকপোস্টে যান। সেখানেই কথিত বন্দুকযুদ্ধে মেজর সিনহা নিহত হন। এখন কথা হচ্ছে, এপিবিএনের চেকপোস্টে পুলিশের কাজ কী? ওদের এজাহার থেকেই প্রমাণিত হয় ওরা আত্মস্বীকৃত খুনি।
এর আগের দিন মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদুল আলম সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহাকে ডাকাত সাজিয়ে গণপিটুনি দিয়ে হত্যার জন্য ৫ লাখ টাকা বাজেট করেছিলেন প্রদীপ। তিনি ওই টাকা স্থানীয় মসজিদের ইমামকে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি টাকা নিতে রাজি হননি। এরপরই সিনহাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, মেজর সিনহা হত্যা যে পরিকল্পিত, আমরা আদালতে সেটি প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা আদালতকে বলেছি আইনের পোশাক পরে আরও কেউ যাতে বেআইনি কাজ কাজ করার সাহস না পায়; সেজন্য অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক। আশা করছি আদালত আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেবেন।
তিনি আরও বলেন, মেজর সিনহা হত্যা যে পরিকল্পিত, আমরা আদালতে সেটি প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা আদালতকে বলেছি আইনের পোশাক পরে আরও কেউ যাতে বেআইনি কাজ কাজ করার সাহস না পায়; সেজন্য অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক। আশা করছি আদালত আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেবেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।