শাবিপ্রবির আন্দোলনে অর্থ যোগানের অভিযোগে আটক পাঁচ শিক্ষার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক
সাখাওয়াত জামিল সৈকত (অতিথি লেখক)
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ২৫শে জানুয়ারী ২০২২ ০৫:১৯ অপরাহ্ন
শাবিপ্রবির আন্দোলনে অর্থ যোগানের অভিযোগে আটক পাঁচ শিক্ষার্থী

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) চলমান উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে আন্দোলনকারীদের ‘টাকা পাঠানোয়’ বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক পাঁচ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ।


ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তাদের সোমবার (২৪ জানুয়ারি) রাত থেকে অভিযান চালিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করে সিলেট পুলিশের কাছে হস্তান্তর করবে।


মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. নিশারুল আরিফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আটকরা এখন রাস্তায় আছেন। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।’


এদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- আর্কিটেকচার বিভাগের রেজা নূর মুঈন, নাজমুস সাকিব দ্বীপ এবং সিএসই বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান।


আটক শিক্ষার্থীদের পরিবার ও বন্ধুদের অভিযোগ, উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শাবিপ্রবির চলমান আন্দোলনে কিছু অর্থ সহায়তা করায় তাদের আটক করা হয়েছে।


এদের মধ্যে আটক রেজা নূর মুঈনের স্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, ‘রেজা সন্ধ্যায় উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের কাছে মুদি কেনাকাটার জন্য গিয়েছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাকে সিআইডির সাইবার ক্রাইম ইউনিট তুলে নেয়। পরে তারা রেজার গাড়ি ফেরত দিতে বাসায় আসে এবং জানায় যে রেজাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিআইডি সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’


যারা বাসায় এসেছিল তাদের গাড়িতে সিআইডির স্টিকার লাগানো ছিল বলে জানান রেজার স্ত্রী। তার ধারণা, শাবিপ্রবিতে চলমান উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের 'টাকা পাঠানোয়' রেজাকে আটক করা হয়েছে।


এর আগে সোমবার শিক্ষার্থীরা জানান, শাবিপ্রবির যেকোনো কর্মসূচিতে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা যৌথ উদ্যোগে তহবিল গঠন করে থাকেন। এ আন্দোলনেও সেভাবেই অর্থ সংগ্রহ চলছিল। তবে সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে রকেট, নগদ, বিকাশ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টসহ মোট ছয়টি অ্যাকাউন্ট থেকে তারা কোনো লেনদেন করতে পারছেন না। এমনকি ওই নম্বরগুলোতে ফোন কল আসছে না এবং যাচ্ছেও না।


শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, গত রাত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আর্থিক লেনদেনের ছয়টি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে।


সিআইডির এক সূত্র জানায়, অনেক সময় পুলিশের অন্য ইউনিটগুলো সিআইডির সহায়তা চেয়ে থাকে। এটা আসলে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অভিযান। সিআইডি কেবল তাদের সহায়তা করেছে।