চিকিৎসক, প্রকৌশলী কিংবা সাংবাদিক যখন যে পরিচয়ে প্রতারণা করা সহজ তখন তিনি তা ব্যবহার করেন।রাজধানী থেকে হাফিজুল ওরফে শফিক নামে এক প্রতারককে গ্রেফতারের পর গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, বিভিন্ন থানায় তার নামে রয়েছে একাধিক মামলা।
হাফিজুল ইসলাম সরদার ওরফে ডাক্তার শাহরিয়ার ওরফে শফিক ওরফে মামুন। তার আসল নাম যে কোনটি তা নিজেই ভুলে যান মাঝে মাঝে। শুধু নামে নয়, পদ পদবিতেও তিনি ছাড়িয়ে গেছেন সবাইকে। একাধারে তিনি চিকিৎসক, দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী কমিশনার, রাজউকের প্রকৌশলী, বিআরটিএর কর্মকর্তাসহ ডজনখানেক প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। অথচ বাস্তবতা হচ্ছে আলিম পাস করা এ ব্যক্তির প্রধান পেশা প্রতারণা।
প্রতারণার অভিযোগে ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে তাকে। তার কাছে থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশনের ১৫০টি স্টিকার। গাড়িতে এসব স্টিকার ব্যবহার করে নিজেকে বড় সাংবাদিক পরিচয় দিতেন। দুদক, রাজউকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অসংখ্য জাল সিল, প্যাড এবং ভুয়া আইডি কার্ডও উদ্ধার করা হয়েছে।
ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম বলেন, এ প্রতারক মাদরাসা থেকে দাখিল এবং আলিম পাস করেছে। কিন্তু সে নিজেকে কখনো ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার পরিচয় দিতেন। অভিযানে তার কাছ থেকে ভিজিটিং কার্ড পাই, সেখানে ডা. মো শাহরিয়ার যিনি বারডেম হাসপাতালের একজন ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচয় দিয়ে নিজেকে চিকিৎসক দাবি করেন। তার কাছ থেকে চিকিৎসাপত্র লেখার প্যাডও আমরা উদ্ধার করেছি। তার কাছ থেকে বিআরটিএর আইডি কার্ড পাই, সেখানে লেখা আছে সহকারী প্রকৌশলী, নাম মো. শাহরিয়ার। আবার কখনো সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পরিচয়ে কাজ করত সে।
পুলিশ বলছে, চিকিৎসক পরিচয়ে ভুয়া মেডিকেল রিপোর্ট তৈরি করে বিদেশগামী লোকজনের কাছে থেকেও তিনি অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন।
এ প্রতারকের হাতে প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগীদের সাইবার বিভাগে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।