হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে এক্সেভেটরের মাধ্যমে অবৈধভাবে মাটি কেটে নানা লোকজনের নিকট নগদ টাকায় বিক্রি করছে একাধিক চক্র। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে।
জানা যায়, আজমিরীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে দীর্ঘদিন ধরে লোকচক্ষুর অন্তরালে এক্সেভেটরের মাধ্যমে অবৈধভাবে মাটি কেটে নানা লোকজনের নিকট নগদ টাকায় বিক্রি করছে এলাকার একাধিক চক্র। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভিন্ন সময়ে জড়িতদের আটক করে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অর্থদণ্ড সহ বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করছে। কিন্তু এরপরও থেমে নেই মাটিখেকোচক্র।
রাতের আধাঁরে লোকচক্ষুর অন্তরালে এক্সেভেটরের মাধ্যমে মাটি কেটে নগদ অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করছে উপজেলার একাধিকচক্র। ওই চক্রের লোকজন এক্সেভেটর ভাড়া করে এনে বিভিন্ন জায়গায় লোকজনের চাহিদানুযায়ী মাটি কাটছে। উঁচু-নীচু ভূমির উপর প্রতি ঘন্টায় মাটি কাটার অর্থের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। যা প্রতি ঘন্টায় ২ থেকে ৩ হাজার টাকা নেয়া হয়ে থাকে। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে বদলপুরের পিরোজপুর গ্রামের অদূরে জমিতে এক্সেভেটরের মাধ্যমে মাটি কাটা হচ্ছে।
এ ছাড়া শিবপাশার পাঁচআখিয়া ব্রীজের অদূরে জমিতে ৩ টি, কাকাইলছেওয়ের ঘরদাইর গ্রামের অদূরে ১ টি, বদলপুরের কাটাখালী গ্রামের অদূরে ১ টি, কাকাইলছেওয়ের ইটভাটার অদূরে ১ টি সহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের জমিগুলোতে ৮ থেকে ১০ টি এক্সেভেটরের মাধ্যমে অবৈধভাবে মাটি কেটে নানা লোকজনের নিকট বিক্রি করছে জড়িত চক্রের লোকজন। এতে করে একদিকে পরিবেশ বিপর্যয় সহ সরকার লাখ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
অপরদিকে এক্সেভেটরের মাধ্যমে অবৈধভাবে মাটি কেটে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে জড়িত চক্রের সদস্যরা। গতকাল সন্ধ্যা অনুমানিক ৭ টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুলতানা সালেহা সুমিকে অবহিত করা হলে, এ ব্যাপারে উনি খোঁজ-খবর নিবেন বলে জানান।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।