বরগুনায় দেড় বছরেও বিচার পায়নি ধর্ষণচেষ্টার শিকার শিশু !

নিজস্ব প্রতিবেদক
জেলা প্রতিনিধি , বরগুনা
প্রকাশিত: রবিবার ৩১শে অক্টোবর ২০২১ ০৬:৩৩ অপরাহ্ন
বরগুনায় দেড় বছরেও বিচার পায়নি ধর্ষণচেষ্টার শিকার শিশু !

বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের উত্তর ফুল ঢলুয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩ য় শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহ আলম কর্তৃক ২০২০ সালের ২ মার্চ ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হন। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর পিতা মোঃ জয়নাল বাদী হয়ে ওই প্রধান শিক্ষককে আসামী করে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন। 


আদালতের নথি সূত্রে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক শাহ আলম এ মামলায় আদালতে হাজির হলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। পরবর্তীতে মামলাটি অন্য জেলায় বদলীর জন্য বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের রেজিষ্ট্রার জেনারেল বরাবর প্রেরন করা হোক বলে বিজ্ঞ বিচারক আদেশ প্রদান করেন।


জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগীয় উপ-পরিচালক বরাবর প্রধান শিক্ষক শাহ আলমের বিরুদ্ধে ওই শিক্ষার্থীর পিতা লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু হয়। পরবর্তীতে উপ-পরিচালক ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন এবং এই তদন্ত কমিটি সর্বশেষ গত ২১ অক্টোবর তদন্তের কাজ শেষ করেন। পর্যায়ক্রমে এ ঘটনার একাধিকবার তদন্ত হলেও এর কোন বিচার আজ পর্যন্ত পায়নি বলে জানান শিক্ষার্থীর স্বজনরা।


প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা যায়, সরকারী কর্মচারী গ্রেফতারের পর বা আত্মসমর্পনের পর জামিনে মুক্তিলাভ করলেও মামলার কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত সাময়িক বরখাস্ত অবস্থায়ই থাকবেন, এমন উল্লেখ থাকলেও প্রধান শিক্ষক শাহ আলমের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ইতিপূর্বে পাতাকাটা দরবার শরিফ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ আসলাম হোসেন ও তার স্ত্রী দঃ বাওয়ালকার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসাঃ শিউলী আকতার পপির বিরুদ্ধে ফৌজদারী আদালতে মামলা হলে তারা উচ্চাদালত থেকে জামিনপ্রাপ্ত হলেও  প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে সাময়িক বরখাস্ত করেন বলে সূত্রে জানা যায়।


এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীর বাবা জয়নাল বলেন, আমার মেয়ের এ ঘটনায় আমি আদালতে মামলা করেছি এবং শিক্ষা বিভাগে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। শুধু তদন্তই হয় কিন্তু বিচার হয়না। কেন শিক্ষক শাহ আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলোনা? জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগীয় উপ-পরিচালক জালাল উদ্দিন জানান, আদালতের মামলায় বিজ্ঞ বিচারক আদেশ দিয়েছেন মামলাটি সাজানো মনে হয়, তাই শাহ আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়নি। শাহ আলমের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলাটি চলমান আছে।