সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ধর্ম আত্মীয়তা করে পরিবারের সাথে সখ্যতা করে অবশেষে সেই পরিবারের সন্তান হিনা বিবাহিত মেয়েকে গর্ভে সন্তান দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে গৃহবধূ অপহরণ করলেন এক নামধারী সাংবাদিক। ঘটনার প্রেক্ষিতে ঝিনাইদহ আদালতে আদালতে মামলা করলেন গৃহবধূর মাতা।
এই নামধারী সাংবাদিকের নাম ইনসার আলী। গ্রামের বাড়ি উপজেলার যাদবপুর গ্রাম। বর্তমানে ঝিনাইদাহ শহরের আরাপপুরের জামতলা নামক জায়গায় স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস করে। সে নিজেকে দৈনিক আশ্রয় কন্ঠ, দৈনিক আরশিনগর ও অপরাধ কণ্ঠের পরিচয় দিয়ে সাংবাদিকতা করে বেড়ান।
মামলা বিবরণ থেকে জানা যায় বিগত চার বছর আগে হরিনাকুন্ডু উপজেলার মন্দিরা গ্রামের আশরাফ উদ্দিন বেপারীর মেয়ে মিম খাতুন( ২৪ )এর বিবাহ হয় একই গ্রামের নূর হোসেনের ছেলে দিপু হোসেনের সাথে। তাদের চার বছরের বিবাহিত জীবনে কোন সন্তানাদি হয়নি। মিমের সন্তানাদি না হওয়া দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ইনসান আলী তাকে প্রলোভন দেখায় যে আমি ঝিনাইদহে এক ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে তার সন্তান হবে। এই কথা বলে ঘটনার কিছুদিন আগে ঝিনাইদহে নিয়ে এসে তাকে জোহান পার্কে নিয়ে যায়।
পার্কে নিয়ে তার কে প্রেমের প্রস্তাব দেয় এবং দুজনের অন্তরঙ্গ ছবি উঠায়। তাকে বলে যে তার সাথে গোপনে মেলামেশা করলে তার গর্ভে সন্তান আসবে কেউ জানতে পারবে না । তারই প্রস্তাবে মিম রাজি হয় না। তারপরে প্রায়ই ডাক্তার দেখানোর কথা বলে তাকে ঝিনাইদহ নিয়ে যায়। শুধু তাই নয় তাকে সন্তান দেয়ার কথা বলে বিভিন্নভাবে তার নিকট থেকে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিতে থাকে।
অবশেষে তার অভিলাষ যখন পূরণ হচ্ছিল না তখন মিমকে অপহরণ করার পরিকল্পনা করে। ঘটনাটা ঘটায় গত ৩রা সেপ্টেম্বর সেপ্টেম্বর ইনসার একটি মহেন্দ্র নিয়ে তার সাথে আরও ৩-৪ জন লোক নিয়ে মিমের বাপের বাড়িতে হাজির হয়। বলে যে তোমাকে একজন ভালো ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে তাই বলে তাকে বুঝায় এবং বলে টাকা পয়সা নিয়ে এসো। এই সময়ে তার ঘরে থাকা গরু বিক্রির ৯০ হাজারটাকা সহ ব্যবহারকৃত স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল নিয়ে ডাক্তারের কাছে যায়।
তারপর রাতে অপেক্ষা করার পরে যখন আর মিম ফিরে না আসে তখন পরের দিন তারা তাকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। না পেয়ে অবশেষে ১৮ই সেপ্টেম্বর মেয়ের মা বাদী হয়ে ঝিনেদা আদালতে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে। ঘটনা একমাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত আসামী ইনসান আলী গ্রেপ্তার হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।