পরকীয়া প্রেমের অবনতি হওয়ায় প্রেমিকাকে খুন!

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ ইলিয়াস আলী - জেলা প্রতিনিধি ঠাকুরগাঁও
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ৬ই জুলাই ২০২৩ ০৬:৪৫ অপরাহ্ন
পরকীয়া প্রেমের অবনতি হওয়ায় প্রেমিকাকে খুন!

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের অবনতি হওয়ার কারণে প্রেমিকাকে ছুড়ি দিয়ে খুন করার পর নিজের আত্মহত্যার চেষ্টা।


বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) দুপুরে জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের বিশ্রামপুর দিঘিরকোণ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।


প্রেমিকের উপুর্যুপরি ছুড়ির আঘাতে প্রেমিকা সোমিরী রানী (৪৫) ঘটনাস্থলেই মারা যায় আর প্রেমিক চন্দ্র মোহন নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেও আহত অবস্থায় ঘটনাস্থলে পড়ে থাকে। পরে পুলি এসে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে পুলিশ জানায়।


নিহত সোমিরী রানীর নাতনী বৃষ্টি রানী (৯) বলেন, আমি দাদীর সাথে বসে ছিলাম। দাদু আসে দাদীর সাথে কথা বলতে চাইলে দাদী তাকে চলে যেতে বলে। সে সেখান থেকে যায়নি। তাই দাদী চলে যাচ্ছিল, তখন সে দাদীর শাড়ীটা ধরে টান দিয়ে দাদী কে ছুড়ি দিয়ে খুন করে। পরে সে নিজের গলা কেটে দেয় । সেটা দেখে আমি ভয়ে সেখান থেকে চলে যায়।


নিহত সোমিরী রানীর ছেলে বলেন, আমি মাঠে কাজ করতে গেছিলাম। খবর পেয়ে আসে শুনি আমার মা কে ছুড়ি দিয়ে চন্দ্র মোহন সিংহ খুন করে নিজে আত্মহত্যার চেষ্টার । পুলিশ তাকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যায়।


তার কাছে হত্যার করার কারণ জানতে চাইলে তিনি আমাদের প্রতিনিধি কে বলেন, আমি এলাকাবাসীর কাছে জানতে পারি যে আমার মায়ের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে। আমি মাকে বুঝিয়ে বলায় মা তার সাথে কথা বলতে রাজি হয়নি বলেই সে আমার মাকে হত্যা করেছে।


এলাকাবাসী বলেন, তাদের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল কয়েক বছর ধরে। মহিলার স্বামী নাই আর ঔ লোকের বউ নাই। তাদের সম্পর্কের ফাটল ধরার কারণে তাকে খুন করে সেও আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে।



অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসাদ বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসে প্রাথমিকভাবে জানতে পারি তাদের ওরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় প্রেমিক প্রেমিকাকে ছুড়ি দিয়ে আঘাত করে খুন করে এবং পরে সেও নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। প্রেমিক কে আমরা আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠিয়েছি। লাশ ময়নাতদন্তে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টর পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনায় ব্যবহৃত ছুড়িটি উদ্ধার করা হয়েছে আর আসামী পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন আছে।