নাটোরে মারকাজ মসজিদ দখল নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৩০

নিজস্ব প্রতিবেদক
জেলা প্রতিনিধি , নাটোর
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২৪শে অক্টোবর ২০২৪ ০৯:১৯ অপরাহ্ন
নাটোরে মারকাজ মসজিদ দখল নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৩০

নাটোরের তেবাড়িয়া মারকাজ মসজিদে তাবলিগ জামাতের দুটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে দুই ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।


ঘটনার পর ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে এক ঘণ্টার জন্য যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রোববার উভয় পক্ষের সঙ্গে বসে সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস দিলে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। তবে রোববার পর্যন্ত মসজিদ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সক্রিয় অবস্থানে থাকবেন।


স্থানীয়রা জানান, মারকাজ মসজিদটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে তাবলিগ জামাতের সদস্যদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান। ২০১৭ সালে তাবলিগের সা’দ ও জুবায়েরপন্থিদের মধ্যে কেন্দ্রীয়ভাবে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হলে নাটোরেও তারা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এরপর থেকে সা’দপন্থিরা মসজিদটিতে অবস্থান করতে থাকে, আর জুবায়েরপন্থিরা আলাইপুর মারকাজ মসজিদে চলে যান।


সা’দপন্থি সদস্য কাওছার হোসেন জানান, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে জুবায়েরপন্থিরা সক্রিয় হয়ে ওঠে। ৭ আগস্ট দুপুরে তারা দলবল নিয়ে তেবাড়িয়া মারকাজ মসজিদে এসে সা’দপন্থিদের বের করে দেয়। বৃহস্পতিবার সা’দপন্থিরা মসজিদে ইজতেমা সংক্রান্ত আলোচনা করতে গেলে জুবায়েরপন্থিরা তাদের ওপর হামলা চালায়।


অন্যদিকে, জুবায়েরপন্থি সদস্য সেলিম দাবি করেন, ৭ আগস্ট স্থানীয়দের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হয় যে সা’দপন্থিরা ওই মসজিদে আসবে না। তবে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সা’দপন্থিরা হঠাৎ এসে জুবায়েরপন্থিদের বের করে দেয়, যা সংঘর্ষের কারণ হয়।


নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহাবুব রহমান বলেন, সংঘর্ষের পর সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নাটোর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আরিফ হোসেন জানান, দ্বন্দ্ব নিরসনে আগামী রোববার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে মসজিদ এলাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকবে।