ভোলার লালমোহনে এক বখাটের নিক্ষেপ করা পেট্রোলে মা-মেয়েকে ঝলসে দেয়া হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের গজারিয়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে। আহতরা হলেন, মোসা. জান্নাতুন নাঈমা (২২) ও তার মা নাজমা বেগম (৫০)। পেট্রোল নিক্ষেপকারী বখাটে গজারিয়া এলাকার নূরুল ইসলাম পাটওয়ারীর ছেলে।
এ ঘটনায় জান্নাতুন নাঈমার শরীরের বিভিন্নস্থানের প্রায় ২৫ শতাংশ পুড়ে যায়। অন্যদিকে তার মা নাজমা বেগমেরও হাতের প্রায় সাড়ে ৪ শতাংশ পুড়ে যায়। জান্নাত গজারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মহিবুল্যাহর মেয়ে ও নাজমা বেগম তার স্ত্রী। ঘটনার বর্ননা দিয়ে আহত জান্নাতের ভাই মো. আশরাফ হোসেন জানান, অভিযুক্ত সুমন দীর্ঘদিন ধরে জান্নাতকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছে। জান্নাত তা প্রত্যাখান করে। শনিবার জান্নাতকে দেখতে পাত্র পক্ষ বাড়িতে আসে। এতে করে ক্ষিপ্ত হয় সুমন। শনিবার সন্ধ্যায় রান্না ঘরে রান্না করার সময় ওই বখাটে সুমন পলিথিনে করে পেট্রোল নিক্ষেপ করলে তা রান্নার চুলা থেকে আগুন ধরে সে ঝলসে যায়। এতে জান্নাত চিৎকার দিলে তাকে উদ্ধার করতে আসা মাও গুরুতর আহত হন।
এব্যাপারে লালমোহন উপজেলা জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডা. মো. ফাহাদ নাসির জানান, ওই রোগীরা হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আসলে তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এদের মধ্যে জান্নাতের অবস্থা মারাত্মক হওয়ায় তার মাকেসহ উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়।
লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকসুদুর রহমান মুরাদ বলেন, ৯৯৯ থেকে একটি কলের ভিত্তিতে হাসপাতালে গিয়ে ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলেছি। ঘটনার সত্যতা জানতে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাচ্ছি। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।