তিনদিন নিখোঁজ থাকার পর বরগুনার বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়নের হলতা ডৌয়াতলা ওয়াজেদ আলী খান ডিগ্রি কলেজের কোষাধ্যক্ষ মো. গোলাম মোস্তফার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উপজেলার ডৌয়াতলা গ্রামের সরকার বাড়ির একটি খাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে বামনা থানা পুলিশ।
নিহতের শরীরে ৯টি ধারালো দায়ের কোপের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে তাকে কুপিয়ে নিশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ৬টায় সরকার বাড়ির পেছনে একটি নালা খালে লাশটি ভাসতে দেখতে পান এক নারী। তার চিৎকারে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষে এখন পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি। এ ঘটনায় দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। তারা হলেন নিহতের ভাগিনা একই গ্রামের জব্বার আলী হাওলাদারের ছেলে মো. মিজানুর রহমান(৪০) ও মতি সরকারের ছেলে মো. নাসির (৩৫)।
বামনা থানার ওসি তদন্ত মো. আবুল হোসেন শরিফ জানান, লাশের সুরতহাল রিপোর্ট সংগ্রহ করার সময় শরীরে প্রায় ৯টি ধারালো দায়ের কোপের চিহ্ন রয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে বুধবার রাতেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।
নিহতের স্ত্রী আলমতাজ বেগম বলেন, বুধবার রাতে শেষ কথা হয় তার সাথে। এরপর তার ফোন বন্ধ পাই আমরা। তার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবী করেন তিনি ।
তিনি আরো জানান, তার ভাগিনা কিছুদিন পূর্বে তাকে হত্যার উদ্দ্যেশে আঘাত করেছিল। তখনে বলেছিল তাকে মেরে ফেলবে। বিষয়টি তদন্ত করে সঠিক হত্যাকারীদের বিচার করার জন্য পুলিশের প্রতি দাবী জানান তিনি।
হলতা ডৌয়াতলা ওয়াজেদ আলী খান ডিগ্রি কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, গোলাম মোস্তফা একজন নিষ্ঠাবান কর্মচারী ছিলেন। তাকে যারা হত্যা করেছে তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
বামনা থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান বলেন, এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে দুই জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।