প্রকাশ: ৭ জানুয়ারি ২০২১, ১৭:৩৬
সরকারি সংস্থায় জরুরি প্রয়োজনে মালামাল কেনাকাটায় সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি বা ডাইরেক্ট প্রকিউরমেন্ট মেথডের (ডিপিএম) সুযোগ রয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় কার্যাদেশে সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রধানের অনুমোদন লাগে। কিন্তু ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ভান্ডার ও ক্রয় বিভাগে ঘটেছে ভিন্ন ঘটনা। অভিযোগ উঠেছে, এ বিভাগের প্রধান ভান্ডার ও ক্রয় কর্মকর্তার (উপ-সচিব) বদলে পৃথক দুটি কার্যাদেশে স্বাক্ষর করেছেন এক ভান্ডার রক্ষক।
এ ভান্ডার রক্ষকের নাম শেখ কামাল হোসেন। ১৪ গ্রেডের এই কর্মচারী ডিএসসিসি শাখা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ওই ভুয়া কার্যাদেশ দিয়ে দুই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তবে ওই কার্যাদেশ এবং স্বাক্ষর নিজের নয় বলে দাবি করেছেন কামাল হোসেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসসিসির প্রধান ভান্ডার ও ক্রয় কর্মকর্তা আলীমুন রাজীব ইনিউজকে জানান, নিয়ম অনুযায়ী বিভাগের প্রধান কার্যাদেশের অনুমোদন (স্বাক্ষর) দেন। ভান্ডাররক্ষকের স্বাক্ষরে ভুয়া কার্যাদেশ দেয়ার ঘটনা তার জানা নেই।
ডিএসসিসির ভান্ডার ও ক্রয় বিভাগ সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ১৬ জুন রহি এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কাজের ভুয়া (আট হাজার বেতের টুকরি ও ১৫০টি দা) কার্যাদেশ দেন ভান্ডাররক্ষক শেখ কামাল হোসেন। একই দিন মেসার্স জে এম ট্রেডিং নামে আরেকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ৩৩৭টি হাতগাড়ি (রাস্তা ঝাড়ু দিয়ে বর্জ্য সংগ্রহে ব্যবহার হয়) সরবরাহের কার্যাদেশ দেন তিনি।
শেখ কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত ওই দুটি কার্যাদেশ প্রায় ৫৫ লাখ টাকার। ঘটনার প্রায় ছয় মাস পর সম্প্রতি এমন ভুয়া কার্যাদেশের বিষয়টি নগর ভবনে জানাজানি হয়।