ঢাকার ক্লাবগুলো যখন ‘ক্যাসিনো’ ঝড়ে বিপর্যস্ত তখন অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি)। সাধারণত মাসের ২৫ বা ২৬ তারিখ বোর্ড কর্মকতা-কর্মচারীদের বেতন হলেও এবার মাস পেরিয়ে গেছে। তবুও হয়নি বেতন। খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না ফিন্যান্স কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালকের। যদিও মুখ খুলতে রাজি নয় কেউই।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে আর আট-দশটা দিনের মতো সব কাজ চলছে স্বাভাবিক গতিতে। বোর্ডের রুটিন কাজ হচ্ছে। সেই সাথে মূল স্টেডিয়াম, একাডেমি মাঠ সবখানেই কর্মব্যস্ত সময় পার করছেন ক্রিকেটাররা। খালি চোখে সবকিছু স্বাভাবিক মনে হলেও বাস্তবতা কিন্তু ভিন্ন। ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে বিসিবি পরিচালক লোকমান হোসেন ভূইয়া গ্রেফতার আর মাহাবুব আনামের কাছে দুর্নীতি দমন কমিশনের হিসেবে চাওয়ার পর চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে বোর্ড সংশ্লিষ্ট সবার মাঝে। যার প্রভাব পড়েছে বিসিবির কর্মকাণ্ডেও।
প্রথগতভাবে মাস শুরুর আগেই অর্থাৎ ২৫-২৬ তারিখের মধ্যে কর্মচারিদের বেতন দিয়ে দেয় বিসিবি। কিন্তু সেই সময় সীমার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও বেতন হয়নি বোর্ডে। এর কারণ কী? তবে কী টাকার ঘাটতি দেখা দিয়েছে বিসিবির! বিষয়টা কিন্তু তাও নয়। সব ঠিক আছে কিন্তু ফিনান্স কমিটির চেয়ারম্যান উধাও। তার স্বাক্ষরের অভাবেই হচ্ছে না বেতন। এখন প্রশ্ন উঠছে কোথায় তিনি? বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসের দাবি কোনো একজন পরিচালকের জন্য আটকে থাকবে না বিসিবি। সবকিছু নিয়মমাফিক চলবে বলেই মনে করেন তিনি।
প্রভাব পড়েছে বিপিএলেও। বোরবার বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের গুরুত্বপূর্ণ সভার কথা নিশ্চিত করেছেন খোদ বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। কিন্তু সেটিও হয়নি। এবার সময় মতো বিপিএল মাঠে গড়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য জালাল ইউনুস। কিন্তু কেন এমন হচ্ছে? তবে কী ক্যাসিনো কেলেঙ্কারির প্রভাব পড়েছে বিসিবিতে! গুঞ্জন আছে, রিমান্ডে থাকা বিসিবির প্রভাবশালী পরিচালক লোকমান হোসেন ভূইয়া প্রকাশ করেছেন তার ঘনিষ্ঠ কয়েকজন সঙ্গীর নাম। বিসিবিতে আতঙ্ক ছড়ানোর এটাই নাকি মূল কারণ। -যমুনা টিভি
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।