জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে দিনাজপুরের বিরামপুরে মো. ফরহাদ হোসেন (৩০) নামের এক যুবক মারা গেছে। করোনা ভাইরাস সন্দেহে ওই ব্যক্তির বাড়ির আশপাশের আরও কিছু বাড়ির লোকজনকে হোম কোয়রেন্টাইনে থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান।
গত রবিবার দিবাগত গভীর রাতে বিরামপুর উপজেলার জোতবানী ইউনিয়নের শিবপুর আঁচলকোল তফসি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। মৃত যুবক মো. ফরহাদ হোসেন (৩০) বিরামপুর উপজেলার জোতবানী ইউনিয়নের শিবপুর আঁচলকোল তফসি গ্রামে আবু হানিফ ছেলে। সোমবার করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য ওই ব্যক্তির নমুনা বাড়িতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মরত চিকিৎসকগণ উপস্থিত হয়ে নমুনা সংগ্রহ করেন।
ওই যুবকে পরিবার সূত্রে জানা যায়, চলতি ১ মার্চে কুমিল্লার লাকসাম উপজেলায় স্থানীয় তিন যুবকসহ কাজের সন্ধানে যান। সেখানে গিয়ে তার শরীরে জ্বর অনুভব হলে সে ১০ মার্চ এলাকায় ফিরে আসে। পরে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নেন। গত রবিবার দিবাগত ভোর রাতে নিজ বাড়িতেই মারা যায়।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মারা যাওয়া ব্যক্তির বাড়িতে ইতোমধ্যেই গ্রাম পুলিশ পাহারা দিচ্ছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসকগণ এসে তার নমুনা সংগ্রের পর জেলা থেকে ইমামসহ ৫ জন লোক এসে তাকে গোসল করে জানাযা পড়ানো হবে।
বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যকর্মকর্তা ডা. মো.সোলায়মান হোসেন মেহেদী বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৮ বছরের এক শিশু ও ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টকে আইসোলেশনে ভর্তি করানো হয়েছে। ইতোমধ্যে আইসোলেশনে থাকা দুই রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে রোগতত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিআর বিভাগে পাঠানো হয়েছে। তাদের শরীরের অবস্থা কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল কুদ্দুস জানান, খবর পেয়ে মেডিকেল টিম সেখানে গেছে। নমুনা সংগ্রহ করে আইডিইসিআর পাঠানো হচ্ছে।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।