সিরাজগঞ্জে ডিমের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে হতাশ খামারিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ শামছুল হক - সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: রবিবার ১৬ই মার্চ ২০২৫ ০৭:২৬ অপরাহ্ন
সিরাজগঞ্জে ডিমের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে হতাশ খামারিরা

সিরাজগঞ্জে ডিমের দাম কমতে থাকায় লেয়ার খামারীদের ব্যবসায় ধ্বস নামতে শুরু করেছে। এতে অধিকাংশ খামারি লোকসানের কারণে তাদের খামার গুটিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। ডিমের দাম কমলেও খাদ্য এবং ঔষধের দাম অপরিবর্তিত থাকায় খামারীরা চরম দুর্দিনে পড়েছেন।


সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া, রায়গঞ্জ, তাড়াশ, শাহজাদপুর, কামারখন্দ, বেলকুচি, কাজিপুর, চৌহালী এবং সদর সহ বেশ কিছু এলাকায় লেয়ারের খামারি সমূহ ডিমের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় লোকসান গুনতে শুরু করেছেন। খামারীদের অভিযোগ, ডিমের আরতদারদের সিন্ডিকেটের কারণে তারা ডিমের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। পাশাপাশি মুরগির বাচ্চা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে খামারীদের কাছ থেকে কম দামে বাচ্চা বেশি দামে বিক্রি করছে।


খাদ্য উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোও তাদের কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি করে এবং ঔষধ কোম্পানিগুলো খামারীদের কাছে উচ্চমূল্যে ঔষধ বিক্রি করছে। মুরগির রোগবালাই যেমন রাণীক্ষেত, গামবুরো, বার্ডফ্লু, করাইজা এবং সালমোনেলার মতো প্রাণঘাতী রোগবালাই খামারীদের জন্য এক নতুন দুঃস্বপ্ন হিসেবে প্রতীয়মান হয়েছে। খামারীরা বলেন, "আমাদের কষ্টে উৎপাদিত ডিম বিক্রি করতে গেলেও সিন্ডিকেটের কবলে পড়তে হয়। আমাদের উৎপাদিত ডিম কত টাকায় বিক্রি করবো তা ঠিক করে দেয় সিন্ডিকেট চক্র।"


একাধিক খামারের সরেজমিন পরিদর্শন করে জানা গেছে, ডিমের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় অনেক খামারি তাদের ডিম দৈনিক বিক্রি না করে জমিয়ে রেখেছেন। খামারীরা জানিয়েছেন, বাজারে দাম না বাড়লে তারা এক থেকে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত ডিম জমিয়ে রাখেন, যাতে দাম বেড়ে যায়। কিন্তু দাম না বাড়লে তারা কম দামে ডিম বিক্রি করতে বাধ্য হন।


ঢাকা এবং সারাদেশের ডিমের আরতদাররা বাজারে ডিমের দাম বেঁধে দেন। এতে খামারীদের লাভ-লোকসানের বিষয়টি তাদের কাছে তেমন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে না। এ পরিস্থিতিতে খামারীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন এবং সরকারের হস্তক্ষেপের জন্য দাবি তুলেছেন।