অভিনব কিছু করতে গিয়ে এক মার্কিন নারী নিজের মেয়ের জন্য দীর্ঘ এক নাম রেখেছেন। সম্প্রতি এক টিভি শোতে এমনটিই জানালেন তিনি।
সান্ড্রা উইলিয়ামস নামের ওই নারী বলেন, যখন তার একটি কন্যা সন্তান জন্মলাভ করে, তখন তিনি চাইলেন তার জন্য একটি অভিনব নাম হবে। সেটি ভেবেই মেয়ের নাম লম্বা করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
সান্ড্রা উইলিয়ামসের মেয়ে ১৯৮৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তখন তার স্বামী তাদের সন্তানের জন্ম সনদে এই নাম ‘Rhoshandiatellyneshiaunneveshenk Koyaanisquatsiuth Williams’ লিপিবদ্ধ করেন।
কিন্তু মেয়ের জন্মের তিন সপ্তাহ পর ওই নারী দেখলেন, এ নাম তো যথেষ্ট লম্বা নয়। এরপরই তিনি মেয়ের নামে এক হাজারেরও বেশি অক্ষর ব্যবহার করেন এবং ফের মেয়ের জন্ম সনদ নবায়ন করেন। সনদটির বর্তমান দৈর্ঘ্য প্রায় দুই ফুট।
ওই নারী তার মেয়ের একটি মধ্যম আকারের নামও রেখেছেন, সেখানেও অন্তত ৩৮টি শব্দ রয়েছে। তবে পরিবারের লোকজন মেয়েটিকে সংক্ষিপ্ত ‘জিমি’ নামে সম্বোধন করেন।
সান্ড্রা উইলিয়ামস জানান, গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ভাঙতেই তিনি মেয়ের এত বড় নাম দিয়েছিলেন। একইসাথে তিনি তার মেয়ের নাম আর দশটা মেয়ের নামের মতো হোক তা চাননি।
তিনি জানালেন, তার মেয়ের নাম বেশ আলাদা, যেটা গিনেস বুক অব রেকর্ডে স্থান করে নিয়েছে। নামটিতে সর্বমোট ১০১৯টি অক্ষর রয়েছে।
এর আগে বিশ্বের সবচেয়ে বড় নাম ছিল ৭৪৭ অক্ষরের, যা ১৯১৪ সালে রেকর্ড করা হয়েছিল। হোবার্ট বালিন নামের এক ব্যক্তির তার বিস্তারিত নামে ৭৪৭টি অক্ষর ব্যবহার করেছিলেন। হোবার্ট বালিন ১৯৯৭ সালে ৮৩ সালে মারা যান। সূত্র: দ্যা সান।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।