৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আনছে এস আলম গ্রুপ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বুধবার ৩০শে অক্টোবর ২০১৯ ১১:২৩ পূর্বাহ্ন
৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আনছে এস আলম গ্রুপ

পেঁয়াজের সংকট নিরসনে এস আলম গ্রুপ মিশর থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করছে। ইতিমধ্যে আমদানি ঋণপত্র খোলা হয়ে গেছে। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এ চালানের পেঁয়াজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাবে। আজারবাইজানের বাকুতে ন্যাম সম্মেলনে যোগদান শেষে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পেঁয়াজের বড় চালানটি শিগগির পৌঁছাবে বলে জানান। 

এস আলম গ্রুপের বাণিজ্যিক বিভাগের প্রধান মহাব্যবস্থাপক মো. আখতার হাসান বলেন, কয়েক দিন আগে মিশর থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি জন্য ঋণপত্র খোলা হয় ব্যাংকে। ইতিমধ্যে সব কিছু চূড়ান্ত হয়েছে। আশা করছি, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে পেঁয়াজের জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়বে। এ পেঁয়াজ যাতে চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের প্রধান প্রধান পাইকারি বাজারে দ্রুত পৌঁছে দেওয়া যায় সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, রেফার কনটেইনার বা শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বিশেষায়িত জাহাজে এ পেঁয়াজ বন্দরে আনা হবে। যাতে পচে, গলে কিংবা পাতা বের হয়ে পেঁয়াজ নষ্ট না হয়। তিনি বলেন, ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে বা লাভের জন্য এ পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে না। এটি সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে করা হচ্ছে। এর আগে ২০১৬ সালেও আমরা পেঁয়াজ আমদানি করে বাজার স্থিতিশীল রাখতে সচেষ্ট হয়েছিলাম। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মিশর থেকে আনা পেঁয়াজ ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) যদি চায় ট্রাক সেল বা খোলা বাজারে বিক্রির জন্য নিতে পারবে।

সম্প্রতি ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের পর পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করে। পাইকারি বাজারে ভারতের পেঁয়াজ ১০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। মিয়ানমার থেকে টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে কিছু পেঁয়াজ আমদানি হলেও তা চাহিদার তুলনায় ছিল কম। ইতিমধ্যে ছোট ছোট আমদানিকারকরা তুরস্ক, মিশর থেকে পেঁয়াজের ছোট ছোট চালান চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আনলেও এস আলম গ্রুপের চালানটি হবে সবচেয়ে বড়।

ইনিউজ ৭১/এম.আর