রাজধানীর বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে পাঁচ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রিহ্যাব-ফেয়ার। আগামী বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হবে এ মেলা। যেখানে সাশ্রয়ী দামে ফ্ল্যাট ও প্লট বিক্রয়ের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
রোববার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে রিহ্যাব ফেয়ার-২০২১ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, করোনাকালে আবাসনখাতে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার মতো অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগ হয়েছে। আবাসন মালিকদের সংগঠন রিহ্যাব আরও বলেছে, ইতোমধ্যে তাদের বেশিরভাগ রেডি ফ্ল্যাট বিক্রি হয়ে গেছে। এদিকে, ড্যাব বাস্তবায়নের উদ্যোগ এবং নির্মাণ সামগ্রীর দাম বাড়ায় শিগগিরই ফ্ল্যাটের দাম বাড়বে বলে জানান তারা।
করোনা মহামারির ধাক্কায় আয় সংকটে রয়েছে সাধারণ মানুষ। বেসামাল বিভিন্ন শিল্প খাত। তবে এর মধ্যেও সুবাতাস বইছে দেশের আবাসন খাতে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, মালয়েশিয়া কিংবা কানাডার বেগমপাড়ায় টাকা পাচার বন্ধে বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থ ফ্ল্যাট ও প্লট কেনায় বিনিয়োগের সুযোগ দিয়েছে সরকার। এরই প্রভাবে করোনার মধ্যেও আবাসন খাতে দেদারসে বিনিয়োগ হয়েছে কালো টাকা। অবস্থান এমন যে বর্তমানে অবিক্রিত রেডি ফ্ল্যাট খুঁজে পাওয়া কঠিন।
রিহ্যাবের সহ-সভাপতি প্রকৌশলী সোহেল রানা বলেন, ২০ হাজার কোটি টাকার মতো বিনিয়োগ হয়েছে। সবটাই না পেলেও সিংহভাগ বিনিয়োগই আমরা পেয়েছি।
তবে এই খাতের অগ্রগতি ধরে রাখা নিয়ে শঙ্কায় ব্যবসায়ীরা। ইতোমধ্যে বাজারে বেড়ে গেছে সিমেন্ট ও রডসহ বিভিন্ন সামগ্রীর দাম। এতে নির্মাণ ব্যয় বেড়েছে ১৫ শতাংশের মতো। এছাড়া ঢাকা মহানগর এলাকায় ‘বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা-ড্যাপ’ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে প্রতিটি ভবনে কমবে ফ্ল্যাট সংখ্যা।
রিহ্যাবের প্রথম সহ-সভাপতি কামাল মাহমুদ বলেন, আগে যে রড ৫২ হাজার টাকায় কিনতাম, এখন সেটা ৮২ হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে। আবার ড্যাপ বাস্তবায়ন হলে যে ভবনে আমরা ৭-৮ টা ফ্ল্যাট পাচ্ছি। সেখানে একটা ফ্ল্যাট কম পাবো। কিন্তু আমার খরচ কিন্তু একই হবে। সুতরাং ফ্ল্যাটের দাম বাড়ানো ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।