চলমান বিপিএলে আবারো জ্বলে উঠলেন তামিম ইকবাল। চট্টগ্রাম পর্বের শুরুর ম্যাচে তার দ্বিতীয় ফিফটির ওপর ভর করে ঢাকা ক্যাপিটালসকে ৮ উইকেটে হারিয়ে বড় জয় তুলে নিয়েছে বরিশাল। ১৩৯ রানের সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালো ছিল না। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত দ্রুতই বিদায় নেন, তখনো দলের রান দুই অঙ্কে পৌঁছায়নি। কিন্তু এরপরই তামিম ও দাভিদ মালানের ব্যাটে শুরু হয় জয়ের গল্প।
তামিম ও মালানের ১১৭ রানের জুটিতে ম্যাচটি একরকম নিশ্চিত হয়ে যায়। দুজনই ছিলেন ধীরস্থির, তবে রান তুলেছেন প্রতি ওভারে গড়ে ৯ করে। তামিম তার ফিফটি পূর্ণ করার পর থিসারা পেরেরার ওভারে ছক্কা ও চারে ১৩ রান তুলে কিছুটা আক্রমণাত্মক খেলতে গিয়েছিলেন। তবে সেখানেই তার ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে। তামিম ৬৯ রান করে পেরেরার বলেই বোল্ড হন।
অন্যদিকে, মালানও ফিফটির কাছাকাছি ছিলেন। কিন্তু ৪৯ রানে অপরাজিত থেকেই তাকে মাঠ ছাড়তে হয়। কারণ, শেষদিকে জাহানদাদ খান এসে চার বলেই দুই ছক্কা হাঁকিয়ে খেলা শেষ করে দেন। তার দ্রুতগতির ১৩ রানের ইনিংস বরিশালকে ২৪ বল হাতে রেখে সহজ জয় এনে দেয়।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে ঢাকা ক্যাপিটালসের শুরুটা ভালো হয়নি। ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম অবশ্য এক প্রান্ত ধরে রেখেছিলেন। তিনি ৪৪ বলে ৬২ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন। কিন্তু তার পাশে দাঁড়ানোর মতো কেউ ছিলেন না। লিটন দাস ১৩ রানে ফিরলে মিডল অর্ডারও তেমন ভালো করতে পারেনি। ফরমানউল্লাহ শাফি ২২ রান করে দলের সংগ্রহে কিছুটা অবদান রাখেন।
বরিশালের বোলারদের মধ্যে তানভির ইসলাম সবচেয়ে সফল ছিলেন। যদিও তিনি ৩৯ রান খরচ করেন, তবুও নিয়েছেন ৩ উইকেট। ফাহিম আশরাফ দুটি ও রিপন মণ্ডল, জাহানদাদ খান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ একটি করে উইকেট নেন। বরিশালের বোলারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ঢাকা ক্যাপিটালসকে ১৩৮ রানে আটকে রাখা সম্ভব হয়।
তামিমের এই দুর্দান্ত ইনিংস এবং বরিশালের সুষম দলীয় পারফরম্যান্স প্রমাণ করে দলটি সঠিক ছন্দে রয়েছে। বিপিএলের বাকি ম্যাচগুলোতেও তামিমের ব্যাট থেকে এমন পারফরম্যান্সের প্রত্যাশা করবে তার দল।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।