কুয়াকাটায় বছরের প্রথম সূর্যোদয় দেখলেন অল্প সংখ্যক পর্যটক

নিজস্ব প্রতিবেদক
আনোয়ার হোসেন আনু, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২রা জানুয়ারী ২০২৫ ১০:১৯ পূর্বাহ্ন
কুয়াকাটায় বছরের প্রথম সূর্যোদয় দেখলেন অল্প সংখ্যক পর্যটক

সাগরকন্যা কুয়াকাটায় বছরের প্রথম সূর্যোদয় দেখতে এ বছর পর্যটকদের উপস্থিতি ছিল আশানুরূপ নয়। ঘন কুয়াশা আর বর্তমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির প্রভাবে থার্টি ফার্স্ট নাইটেও পর্যটকদের আগমন ছিল সীমিত।  


বছরের প্রথম দিনে বুধবার সকালে কিছু দেশি ও বিদেশি পর্যটক সূর্যোদয় দেখতে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে আসেন। তবে মেঘ এবং ঘন কুয়াশার কারণে স্পষ্ট সূর্যোদয় দেখা সম্ভব হয়নি। তবু প্রকৃতিপ্রেমীরা এই দৃশ্য উপভোগে নিজেদের অসন্তোষ প্রকাশ করেননি।  


পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, প্রতিবছর ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ ও জানুয়ারির শুরুতে কুয়াকাটা পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত থাকে। কিন্তু এবছর এর চিত্র পুরোপুরি ভিন্ন। বেশিরভাগ হোটেল ও মোটেলের কক্ষ খালি পড়ে আছে। কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইব্রাহিম ওয়াহিদ জানান, এবার মাত্র ৩০ শতাংশ হোটেল কক্ষ বুক হয়েছে।  


ব্যবসায়ীদের দাবি, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে পর্যটকদের মধ্যে একটি চাপা উদ্বেগ ছিল। এতে তাদের আগমনে প্রভাব পড়েছে। অনেকেই ভেবেছিলেন এই বছর ৩১ ডিসেম্বর কুয়াকাটায় প্রায় অর্ধলক্ষাধিক পর্যটকের সমাগম হবে, কিন্তু সেই সংখ্যা ৫ হাজারেও পৌঁছায়নি।  


ঢাকা থেকে আসা পর্যটক মিলন জানান, তিনি বন্ধুবান্ধব নিয়ে বছরের প্রথম সূর্যোদয় দেখতে এসেছেন। কুয়াশার কারণে সূর্য পুরোপুরি দেখা সম্ভব না হলেও নতুন বছরের শুরুতে কুয়াকাটার প্রকৃতি উপভোগ করে তিনি আনন্দিত।  


কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবদুল মোতালেব শরীফ বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে হোটেলগুলোতে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয়েছিল। তবে পর্যটকদের আগমন এত কম হবে, তা কেউই কল্পনা করেনি।  


স্থানীয়রা আশা করছেন, নতুন বছরের শুরুতে পর্যটক কম থাকলেও সামনে দিনগুলোতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে এবং পর্যটন খাতে আবারো প্রাণ ফিরে আসবে।