সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি (আইপি) এর মেয়াদ গত ২৯ মার্চ মঙ্গলবার ছিলো শেষ দিন। এ কারণে আমদানি কারকরা আগের ( আইপির) সব পেঁয়াজ বন্দরে প্রবেশ করাতে চায়। ফলে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে এক দিনে ভারত থেকে রেকর্ড পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে।
বুধবার (৩০ মার্চ) সকাল থেকে প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ আড়ৎগুলোতে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১১-১২ টাকা দরে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪-১৫ টাকা দরে। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৪-২৫ টাকা কেজি দরে। দাম কমায় অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে।
হিলি বন্দরের আমদানি রফতানি কারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি ক্ষেত্রে সরকারি অনুমতি ( আইপি) পত্রের শেষ দিন ছিলো গত ২৯ মার্চ মঙ্গলবার। যার ফলে ব্যবসায়ীদের আগের অনুমতির সব পেঁয়াজ বন্দরে প্রবেশ করাতে ব্যাস্ত হয়ে পড়ে। দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক রাখতে আমার প্রচুর পরিমাণ পেঁয়াজ এর (এলসি) আবেদন করি। বন্দরে পেঁয়াজ আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় স্হানীয় বাজারসহ দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক রয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা শাকিল খান জানান, আমরা স্থলবন্দরের আড়ৎগুলো থেকে ভারতীয় পেঁয়াজ পাইকরি ১১-১২ টাকা দর হিসেবে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ক্রয় করছি। ওই পেঁয়াজ খুচরা বাজারে ১৪ -১৫ টাকা দরে বিক্রি করছি। তবে আগের থেকে ক্রেতা সংখ্যা অনেকটাই কম। অন্য সময়ে প্রতিদিন ১০-১৫ বস্তা পেঁয়াজ বিক্রি হলেও এখন তা ৫-৭ বস্তা বিক্রি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি বৃদ্ধির কারণে বাজারে দাম কমেছে এবং আড়ৎগুলোতে প্রচুর পরিমাণ পেঁয়াজ মজুদ আছে। আসছে পবিত্র রমজান মাসে পেঁয়াজ এর দাম বৃদ্ধির কোনো সম্ভাবনা নেই।
হিলি কাস্টমসের তথ্যমতে, মঙ্গলবার ( ২৯ মার্চ) ভারতীয় ৬৩ ট্রাকে এক হাজার ৬৯০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।