টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। খোলা বাজার ও নগদ মূল্যে রোববার ডলার ৯০ টাকা ১০ পয়সায় কেনাবেচায় হয়, দেশে যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ মূল্য।জানা গেছে, প্রবাসীদের পাঠানো আয় বা রেমিট্যান্স তিন মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে কমেছে। রপ্তানি আয়ে ভাটা চলছে। বেড়েছে আমদানি ব্যয়। ফলে বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে, যা টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে।
সর্বশেষ আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্য দাঁড়ায় ৮৫ টাকা ৭০ পয়সা। তবে খোলা বাজার ও নগদ মূল্যে ডলার ৮৯ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ৯০ টাকা ১০ পয়সায় কেনাবেচা হচ্ছে। ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, প্রায় দেড় বছর পর পর্যটনের জন্য ধীরে ধীরে খুলছে বিভিন্ন দেশের সীমান্ত। করোনার কারণে থেমে যাওয়া বহুজাতিক বিমান সংস্থাগুলো এখন অনেক রুট তথা গন্তব্যে তাদের বিমান চলাচল শুরু করেছে। ফলে মানুষের পেশাগত কাজ, শিক্ষা, চিকিৎসা ও কেনাকাটার জন্য বিভিন্ন দেশে যাতায়াত শুরু হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের খোলা বাজারে ডলারের দামে।
ডলার ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাইরে যাওয়ার জন্য হঠাৎ ডলারের চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। সে তুলনায় হাতে হাতে দেশে ডলার আসছে না। ফলে দাম বেড়ে গেছে। হাতে হাতে ডলার দেশে না এলে এই ঊর্ধ্বগতি শিগগির থামবে না। তবে গ্রাহকরা চাইলে পাসপোর্ট এনডোর্স করে ব্যাংক থেকেও ডলার কিনতে পারেন। ব্যাংকগুলো অবশ্য এখন ৮৮ টাকার কমে ডলার বিক্রি করছে।
তবে ঋণপত্রের দেনা পরিশোধে ব্যবসায়ীদের প্রতি ডলারের জন্য দিতে হচ্ছে ৮৫ টাকা ৬৫ পয়সা। ফলে খোলা বাজারের সঙ্গে ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলারের দামের পার্থক্য ৪ টাকা হয়ে গেছে, স্বাভাবিক সময়ে যা ২-৩ টাকার মধ্যে থাকে। মতিঝিল ও গুলশানের এক্সচেঞ্জ হাউজ ও খোলা বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখন ডলার বিক্রি করতে সেভাবে মানুষ আসছেন না। শুধু কেনার জন্য আসছেন। এই কারণে দাম বাড়ছেই।
এদিকে পণ্য আমদানিতে ব্যবসায়ীদের বেশি টাকা খরচ করতে হচ্ছে। আর আমদানি খরচের তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে করোনার টিকা। ফলে তিন মাস ধরে বাড়ছে টাকার বিপরীতে মার্কিন ডলারের দাম। অর্থাৎ দিনে দিনে দুর্বল হচ্ছে বাংলাদেশি টাকা। ডলারের দামের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে। এরপরও দাম ধরে রাখা যাচ্ছে না।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।