দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বেড়েছে পেঁয়াজের আমদানি। আমদানি বাড়ায় বন্দরের পাইকারী ও খুচরা বাজারে কমেছে আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম। মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) হিলি বন্দর ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত শনিবার বাজারে যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৩২ টাকা কেজি দরে, সেই পেঁয়াজ মঙ্গলবার বিক্রি হচ্ছে ২৮ টাকা কেজি দরে। দুই দিনের ব্যবধানে কেজিতে কমেছে দুই থেকে চার টাকা। আমদানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দাম কমতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী আলমগীর। এতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে। এদিকে, হিলি বন্দরে পেঁয়াজের দাম কমায় বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকাররা এসে ভিড় করছেন পেঁয়াজ কেনার জন্য।
দাম কমার কারণ হিসেবে হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক বাবু মন্ডল জানান, দেশের বাজারে চাহিদা থাকায় এই বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানিটা বেড়েছে। আমদানি বাড়ার কারণে স্থানীয় বাজারে পণ্যটির সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম কমেছে। কাঁচা পণ্যের নিয়মই- এটি আমদানি বাড়লে দামও কমে। আমদানি বাড়লে বাজারে পণ্যটির দাম আরও কমে আসবে। হিলি বাজারের খুচরা বিক্রেতা শরিফ জানান, বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি বেড়েছে যার কারণে আমরা সেখান থেকে কম দামে পেঁয়াজ কিনতে পারছি এবং কম দামে বিক্রি করছি। আমরা কম দামে কিনতে পারলে কম দামেই বিক্রি করে থাকি। দাম বাড়ানো সুযোগ আমাদের হাতে থাকে না। কথা হয় হিলি বাজারের রক্তিম বাবু ও ইসমাইল হোসেন নামের দু'জন ক্রেতার সঙ্গে। তারা বলেন, হিলি বাজারে গত দুই দিনের থেকে আজকে পেঁয়াজের দাম একটু কাম। এ রকম দাম কম হলে আমাদের জন্য ভালো হয়।
হিলি স্থলবন্দরের পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক প্রতাব বলেন, এই বন্দরের আমদানিকৃত সকল পণ্য দ্রুত ছাড় করণে আমরা ব্যবসায়ীদের সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি। তবে পেঁয়াজ কাঁচা পণ্য হওয়ায় সেটি দ্রুত ছাড় করণ করে দেশের বাজারে ব্যবসায়ীরা সরবরাহ করতে পারে সে লক্ষ্যে তাদের সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।
হিলি কাস্টমসের তথ্যমতে, চলতি সপ্তাহের প্রথম দিন (শনিবার) ভারত থেকে মাত্র ছয়টি পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করলেও রোববার, সোমবার ভারত থেকে ৬০টি পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাকে এক হাজার সাতশ ৪৬ মেট্টিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।