বাজারে হঠাৎ করে সরবরাহ কমের অযুহাতে দিনাজপুরের হিলিতে বেড়েছে কাঁচামরিচের ঝাঁঝ। বেশ কিছুদিন কমতির দিকে থাকার পরে পাইকারীতে কেজি প্রতি বেড়েছে ৫০ টাকা এবং খুচরাতে বেড়েছে ৬০ টাকা। বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ কমেছে সেই জন্য বেড়েছে দাম বলে মনে করছেন হিলি বাজারের কাঁচা মরিচের ব্যবসায়ীরা।
শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) হিলি কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সব দোকানে কম বেশি কাঁচামরিচ থাকলেও তা বিক্রি হচ্ছে অনেক বেশি দামে। সবচেয়ে দাম বেড়েছে খুচরা বাজারে। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ গত সপ্তাহে প্রকার ভেদে ৫০ থেকে ৬০ বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১১০ টাকা। এতে বিপাকে পড়েছে সাধারণ ক্রেতারা।
হিলি বাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে আসা রাজা মিয়া জানান, তিন চার দিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম এতো বৃদ্ধি পারে ভাবতেই পারিনি। গত সপ্তাহে কাঁচা মরিচের দাম কেজি প্রতি ছিলো ৫০ থেকে ৬০ টাকা। আজ তা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। বাজারে মরিচ কিনতে এসে তো রীতিমতো বোকা সেজেছি। কেন এতো প্রায় দাম বাড়ে আবার কমে এটাই আমার প্রশ্ন? নিয়মিত বাজার মনিটরিং না হওয়ার কারনরেই ইচ্ছে মতো ব্যবসায়ীরা দাম বাড়াচ্ছেন বলে মনে করেন তিনি।
বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রেতা বিপ্লব জানান, আমরা ব্যবসায়ীরা সাধারণত নওগাঁ, বগুড়া, পাঁচবিবি জয়পুরহাট ও পার্শ্ববর্তী বিরামপুর এলাকা থেকে কাঁচা মরিচ ক্রয় করে নিয়ে আসি। গত বেশ কয়েকদিন ধরে বাজারে দেশীয় কাঁচামরিচের সরবরাহ ভালো থাকায় দাম কমতির দিকে ছিল। তবে গত কয়েকদিনের বৃষ্টি ও কারণে নওগাঁসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সেখানে মরিচের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। সেই জন্য মোকামগুলোতে কৃষকরা বেশি দামে বিক্রি করছেন। যারফলে আমাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে এবং বেশি দামে বাজারে বিক্রি করতে হচ্ছে। এখানে দাম বেশি হওয়ায় আমাদের কোন হাত নেই। আবারও বাজারে সরবরাহ বাড়লে কাঁচা মরিচের দাম কমে যাবে বলে জানান তিনি।
বেশ কিছু দিন আগে দেশের বাজারে কাঁচামরিচের দাম ঊর্ধ্বমুখী হলে সরকার ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দেয়। দীর্ঘ আট মাস বন্ধের পর গত ১৪ ও ১৬ আগস্ট দু’দিন হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৩৬ টন ৭৮৬ কেজি কাঁচামরিচ আমদানি হয়। তবে দাম কম পাওয়ায় ও লোকসানের কারণে বন্দর দিয়ে মরিচ আমদানি বন্ধ রয়েছে
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।