প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৫, ১১:৩৩
দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে সশস্ত্র ডাকাত দলের গুলিতে নিহত হয়েছেন দুই বাংলাদেশি নাগরিক। নিহতরা হলেন কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের এমদাদুল হক এবং শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার বিল্লাল হোসেন। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টার দিকে কেপটাউনের বুষ্টারের ডিডোরেন্স এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। তারা প্রবাসী মনির হোসেনের মালিকানাধীন একটি দোকানে কর্মরত ছিলেন।
ঘটনার সময় হঠাৎ একদল সশস্ত্র ডাকাত দোকানে হামলা চালায়। ডাকাতরা দোকান থেকে মালামাল লুটে নেওয়ার পর এমদাদুল ও বিল্লালকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে এবং দ্রুত পালিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুজনকেই ঘটনাস্থলে মৃত ঘোষণা করা হয়। ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে আসে।
নিহত এমদাদুল হকের পাসপোর্ট অনুযায়ী তিনি মির্জাপুর গ্রামের শফিকুল আলম ও তাসলিমা দম্পতির ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে জীবিকার তাগিদে দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাস করছিলেন। অপর নিহত বিল্লাল হোসেনও একই দোকানে কাজ করতেন এবং পরিবার-পরিজনকে আর্থিক সহায়তা পাঠাতেন বলে জানা যায়।
স্থানীয় প্রবাসীরা জানান, সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশি প্রবাসীদের ওপর হামলার সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। গত দুই মাসে কেপটাউন এলাকায় অন্তত পাঁচজন বাংলাদেশি সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন। বেশিরভাগ ঘটনার পেছনে রয়েছে ডাকাতি কিংবা ব্যবসায়িক শত্রুতা।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের দাবি, এমন পরিস্থিতিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাস করা বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ জরুরি। তারা দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন সঠিক তদন্ত নিশ্চিত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
এই মর্মান্তিক ঘটনায় দেশে থাকা পরিবারগুলোও চরম শোক ও নিরাপত্তা আতঙ্কে ভুগছে। নিহতদের মরদেহ দেশে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। একইসঙ্গে প্রবাসীরা এই ঘটনার ন্যায়বিচার নিশ্চিতের জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।