টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর-তারাকান্দি মহাসড়কের পাশে সবুজ প্রকৃতির মাঝে দৃষ্টিনন্দন বায়তুন নূর জামে মসজিদ অবস্থিত। অনন্য স্থাপত্যশৈলী ও মনোরম পরিবেশের কারণে এটি এলাকাবাসী ও পথচারীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন প্রয়াত আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার শফিকুল ইসলাম ফরিদ।
১৯৯১ সালে পারিবারিক উদ্যোগে টিনের ঘর দিয়ে মসজিদের কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে ২০২০ সালে পাকা ভবনের নির্মাণ শুরু হয়ে ২০২২ সালে সম্পন্ন হয়। নির্মাণ ব্যয় হয় প্রায় এক কোটি দশ লক্ষ টাকা। দৃষ্টিনন্দন নকশা ও সুদৃশ্য কাঠামোর জন্য মসজিদটি ধর্মপ্রাণ মানুষের কাছে এক বিশেষ স্থান দখল করে নিয়েছে।
এটি শুধু নামাজ আদায়ের স্থান নয়, মসজিদের সঙ্গে একটি মাদ্রাসাও রয়েছে। এখানে নূরানি, হিফজ ও কিতাব বিভাগ চালু রয়েছে, যা বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার সিলেবাস অনুযায়ী পরিচালিত হয়। ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি শিশুদের নৈতিকতা গঠনে মাদ্রাসাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
মসজিদের প্রধান ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুস্তাকিম বিল্লাহ্ মাহমুদী জানান, প্রতিষ্ঠাতা শফিকুল ইসলাম ফরিদ ছিলেন অত্যন্ত ধর্মপ্রাণ ও দানশীল ব্যক্তি। বর্তমানে তার পরিবার মসজিদের যাবতীয় ব্যয় বহন করছে। তার ভাই, ভাতিজি ও ছেলে মসজিদের দেখভাল করে যাচ্ছেন।
এ মসজিদ শুধু ইবাদতের স্থান নয়, এটি একটি স্থাপত্য নিদর্শনও বটে। এর সুন্দর গম্বুজ, নকশা করা মিনার ও খোদাইকৃত দোয়াগুলো যে কোনো মুসল্লির হৃদয়ে প্রশান্তি এনে দেয়। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ মসজিদটি দেখতে আসেন।
স্থানীয়রা জানান, মসজিদের পরিবেশ এতটাই মনোরম যে এখানে নামাজ আদায় করলে আত্মার প্রশান্তি পাওয়া যায়। বিশেষ করে জুমার দিনে মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
মসজিদের পাশে একটি ওয়াকফকৃত কবরস্থানও রয়েছে, যেখানে এলাকার মুসল্লিরা তাদের প্রিয়জনদের সমাহিত করেন। মসজিদের চারপাশের খোলা প্রাকৃতিক দৃশ্য নামাজিদের জন্য এক শান্তির বার্তা নিয়ে আসে।
এলাকাবাসীর আশা, এই মসজিদ ইসলামিক মূল্যবোধ সংরক্ষণে এবং ধর্মীয় শিক্ষা প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ভবিষ্যতে এর পরিধি আরও বাড়িয়ে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের জন্য উন্নত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।